গবেষণা ও নন্দনচর্চা কেন্দ্র, সত্যান্বেষণ-এর উদ্যোগে শনিবার ২৬ অক্টোবর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার কক্ষে ‘বাংলাদেশের সকল নৃগোষ্ঠীগত অখ- জনগণসত্তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে গণদৃষ্টিপাত’ শীর্ষক শাস্ত্রীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপিকা ড. খুরশীদা বেগম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ব্রিটিশ সরকারের ১৯০১ সালের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন আইনের সূত্র ধরেই পরবর্তীকালে বাংলাদেশে পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। এ ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলেই পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সভাপতির ভাষণে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে পারষ্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সত্যান্বেষণের ব্যতিক্রমী সেমিনার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঐতিহাসিক তথ্যাদির নিরিখে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ‘বাংলাদেশ নাগরিকের রাষ্ট্র, কোন আদিবাসীর নয়’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীকে আদিবাসী নয় বরং ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বলাই যু্্ক্িতযুক্ত।
অধ্যাপিকা ড. খুরশীদা বেগম ‘বাংলাদেশ: নৃগোষ্ঠী নিরপেক্ষতা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গ’’ প্রবন্ধে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংহতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের ক্রিয়াশীলতার প্রতি আলোকপাত করেন।
অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ‘বাংলাদেশের নৃ-গোষ্ঠী : একটি প্রত্মতাত্ত্বিক সমীক্ষা’য় বলেন, বাঙালিরাই বাংলাদেশের আদিবাসী।