সুধী। অপরাধ ক্ষমা করবেন । কোনো বাক-বিতণ্ডা নয় আর। হাতে সময় কম, সিদ্ভান্ত যা নেয়ার আজই নিন। জাগুন, ভাবুন। চলুন বিবেকবান মাত্রই গণঅনশন কর্মসূচি গ্রহণ করি ও এই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নামের দুইদলের দুই প্রধান নেত্রীকে এক রিক্সায় চড়তে বাধ্য করি। আসুন, জাগুন।
আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনমন্ত্রীর ‘খবরআছে উচ্চারণ’ এবং বিএনপির একগুয়েমীতে খোকা সাহেবের ‘দা-কুড়াল’ তত্ত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এই ডাক শুনেও যদি দেশের বিবেকবান মানুষের বিবেক না জাগে, যদি আজো ঘুমিয়ে থাকেন নিশ্চুপতার আঢ়ালে, তবে ধিক আপনার জন্মের প্রতি। ধিক আপনার ধর্মের প্রতি। যে সন্তান মায়ের মনে অশান্তিতে চুপ হয়ে থাকে সে সন্তান নামের কুলাঙ্গার ছাড়া আর কিছু নয়। যে ধর্মভিরু প্রতিবেশীর ক্ষতি মুখ বুঝে দেখে, সে কখনোই ধার্মিক নয়।
বাংলাদেশ নামের ‘মা’ আজ বড় কষ্টে আছে। এ দেশের ষোল কোটি মানুষ দুটি দলের পরিবার তন্ত্রে জিম্মি হয়ে আজ আতঙ্কিত জীবন যাপন করছে যখন। তখন দল নিরপেক্ষ ভাল মানুষেরা যদি চুপ করে ঘরে বসে থাকেন তাহলে, আপনাদের এভাবে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কোনো ভদ্র ভাষা জানা নাই। তাই অনুরোধ জাগুন। না কোনো সহিংশতা নয়, ভদ্র ভাষায় একতা নিয়ে জাগুন ।
যদি সত্যিকারের দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ভালবাসা থাকে তাহলে আর দেরি নয়, এই দুই দলের মদ্যে সংঘাত শুরুর আগেই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এদের প্রতিহত করি। এঁরা যদি আমাদের ভালো না চায় তাহলে এদের চিরতরে বয়কট করবো। আর যদি এরা দেশপ্রেমিক হয়, মানুষকে ভালবাসে তবে বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে এক রিক্সায় চড়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে প্রেসক্লাব বা সহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে বাধ্য করব আমরা। এজন্য আমাদের কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। এটা হয়ত অনিশ্চয়তা। তবুও যদি আমরাহাজারো লোক একত্র হয়ে অনশন ধর্মঘটের ডাক দেই ও বলি, “আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এই দুই নেত্রী এক রিক্সায় চড়ে, হাতে হাত ধরে এসে আমাদের অনশন ভঙ্গ করাবেন। তানা হলে এদের ৫দিন পর সারাদেশে তাদের বয়কট করার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আল্লাহ কসম। ভয় পাবেন না। এই ৫ দিন না খেয়ে কেউ মরবে না। দুর্বল চিত্তের কেউ যদি মারাও যাই, ভয় নাই, একটি মৃত্যু হয়ত এই দেশের ষোলকোটি মানুষকে জাগিয়ে দেবে এবং সত্যিকারের জাগরণে ভেসে যাবে এই দুটি দলের নেতৃত্ব।