বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৬ এবং প্রয়াত ০৯ জন নাট্যকার স্মরণে ‘স্মৃতি, সত্তা, ভবিষৎ’ শিরোনামে ৫ দিনব্যাপী বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত প্রেসনোটটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৬ উপলক্ষে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি নানান ভাষা ভাষীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান এবং ‘স্মৃতি, সত্তা, ভবিষৎ’ শিরোনামে প্রয়াত নাট্যকার স্মরণে ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে।
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সাফল্যের ৪২তম বছর পদার্পন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষে একাডেমি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানক্রমে থাকছে দিনব্যাপী বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর সম্মানিত নির্বাচক মন্ডলী ও বিচারক মন্ডলী এবং যে সকল শিল্পী দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী ও জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে পুরস্কৃত হয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত করেছেন এমন ৬০জনের অংশগ্রহণে একাডেমির চারুকলা প্রাঙ্গনে আর্টিস্ট ক্যাম্প। বিকেল ৩টায় শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। বিকাল ৫টার একাডেমির নন্দন মঞ্চে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থত থাকবেন মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী আর্টিস্ট ক্যাম্প, একাডেমির নন্দন মঞ্চে বিকেলে ভাষার গান ও কবিতা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন ভাষাভাষীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখের অনুষ্ঠান সূচি সংযুক্ত।
এ লক্ষে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বুধবার দুপুর ১২.০০টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক সারা আরা মাহমুদ, চারুকলা বিভাগের পরিচালক জনাব উৎপল কুমার দাস, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক জনাব সোহরাব উদ্দীন, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপপরিচালক অরুণ চন্দ্র ম-ল, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের উপপরিচালক শামীমা আক্তার জাহান প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনের ছবি সংযুক্ত।
৪২ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানসূচি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
তারিখ সময় অনুষ্ঠানমালা স্থান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০.০০মি. উদ্বোধন
(পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত, বেলুন উড়ানো) নন্দনমঞ্চ
সকাল ১০.২০মি. ১ নং গ্যালারীকে স্থায়ী গ্যালারী হিসেবে উদ্বোধন জাতীয় চিত্রশালা
সকাল ১০.৩০মি. দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী, জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ও নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর পুরষ্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প জাতীয় চিত্রশালা ও একাডেমি প্রাঙ্গন
বিকাল ৩.০০মি. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪২ বছর পূর্তিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা জাতীয় চিত্রশালা প্লাজা, বিকাল ৪.০০মি. প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীদের পুনর্মিলনী জাতীয় চিত্রশালা অডিটোরিয়াম
সন্ধ্যা ৬.০০মি. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নন্দনমঞ্চ
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানসূচি ২০-২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
তারিখ সময় অনুষ্ঠানমালা স্থান
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০.০০মি. মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মরণে আর্ট ক্যাম্প জাতীয় চিত্রশালা ও একাডেমি প্রাঙ্গন
বিকাল ৪.০০মি. কবিতা পাঠ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান নন্দনমঞ্চ
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত
১২.৩০মি. পুষ্পস্তবক অর্পণ কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার
বিকাল ৪.০০মি. মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার
সন্ধ্যা
৬.০০মি. মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নন্দনমঞ্চ
* ১৬-২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ জাতীয় নাট্যশালার আর্কাইভে (লিফটের-৫) সন্ধ্যা ৬.০০টা থেকে বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
১. ১৩টি ভাষার চলচ্চিত্র নিয়ে ‘নানান ভাষার নানান ছবি’ শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসব।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ১৩টি ভাষার চলচ্চিত্র নিয়ে ‘নানান ভাষার নানান চলচ্চিত্র’ শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসবেরর আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখ হতে শুরু হয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (২৭ ফেব্রুয়ারি ব্যতিত) তারিখ পর্যন্ত উৎসব চলবে। জাতীয় নাট্যশালার ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল কালচারাল আর্কাইভ (লিফট-৫) প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.০০টা থেকে একটি করে চলচ্চিত্র প্রতিদিন প্রদর্শীত হবে। নি¤েœ চলচ্চিত্রগুলোর নাম দেওয়া হলো-
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – দি ফিস ফল ইন লাভ (পার্সিয়ান), ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – ইন দা ওয়াইল্ড মাউন্টেইনস (চাইনিজ), ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – হায়দার (হিন্দি), ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – মাইটি ঘর (নেপালি), ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – দি ফ্রেন্স রে্যভুলেশন (ফ্রেঞ্চ), ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – মৃত্তিকা মায়া (বাংলা), ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – দি হলিম্যান ২ (থাই), ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – আলেকজেন্ডার (ইংরেজী), ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – বাহুবালী (তামিল), ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – লিজেন্ড অফ দ্যা এইট সামুরাই (জাপানিজ), ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – দি মিরর নেভার লাইস (বাজাও), ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – সেভেন ডেইজ (কোরিয়ান) ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – ভিজনটেল (তার্কিশ)
২. দেশব্যাপী অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর আওতায় ছিটমহলে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী-
৩.
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র আয়োজনে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দল’ দেশব্যাপী অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর লক্ষে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখ হতে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত নি¤েœাক্ত সময়সূচি অনুযায়ি ০৮টি প্রদর্শনী চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর দাসিয়ার ছড়া ছিটমহলে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রয়াত নাট্যকার স্মরণে স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ শীর্ষক অনুষ্ঠান
স্থান: জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হল, উদ্বোধন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ৫টা
উদ্বোধক ঃ সৈয়দ শামসুল হক
সব্যসাচী লেখক
প্রধান অতিথি ঃ অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ
উপ উপাচার্য, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়
সভাপতি ঃ লিয়াকত আলী লাকী
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
স্বাগত বক্তব্য ঃ সারা আরা মাহমুদ
পরিচালক নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ, বাশিএ
তারিখ অনুষ্ঠান শিরোনাম সময় আলোচ্য নাট্যকার ও প্রবন্ধ শিরোনাম প্রবন্ধ উপস্থাপক আলোচক সভাপতি
২২ ফেব্রুয়ারি ৫.০০টা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সেমিনার বিকাল ৫.৪৫টা মুনীর চৌধুরী
মুনীর চৌধুরীর নাটকে চিরন্তন বোধ
মাহফুজা হিলালী জনাব ড. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন
জনাব লিয়াকত আলী লাকী
জনাব ড. বিপ্লব বালা
নাটক মঞ্চায়ন সন্ধ্যা ৭.৩০টা নাটক: কবর, পরিবেশনা: থিয়েটেক্স, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়
২৩ ফেব্রুয়ারি সেমিনার
বিকাল ৫.০০টা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র নাটক নিয়ে
অধ্যাপক ড. বিশ^জিৎ ঘো ষ জনাব সৈয়দ হাসান ইমাম জনাব আতাউর রহমান
জনাব শিশির দত্ত
সন্ধ্যা ৬.৩০টা সেলিম আল দীন
সেলিম আল দীনের নাট্য রচনার প্রস্তুতি পর্ব-ই তাঁর পরিণত পর্বে অনুসৃত শিল্প-আঙ্গিকের প্রসূতি: একটি নির্মোহ পর্যবেক্ষণ
ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম অধ্যাপক ড. আফসার আহমেদ
অধ্যাপক ড. মলয় ভৌমিক
নাটক মঞ্চায়ন রাত ৮.০০টা তরঙ্গভঙ্গ (নাটক পাঠ), পরিবেশনা: নাট্যধারা
রাত ৮.২০টা নাটক মঞ্চায়ন নিমজ্জন, পরিবেশনা: ঢাকা থিয়েটার
২৪ ফেব্রুয়ারি সেমিনার
বিকাল ৫.০০টা নূরুল মোমেন
নুরুল মোমেনের নাট্য সৃজন অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জনাব এস এম মহসীন জনাব নাসির উদ্দীন ইউসুফ
জনাব ম. হামিদ
সন্ধ্যা ৬.৩০টা আব্দুল্লাহ আল মামুন
আবদুল্লাহ আল-মামুনের নাটকের বিষয়সূত্র
অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর জনাব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
জনাব কামাল উদ্দীন কবীর
নাটক মঞ্চায়ন রাত ৮.০০টা নাটক: নেমেসিস, অভিনয়ে: এ কে আজাদ সেতু
রাত ৮.২০টা নাটক: মেরাজ ফকিরের মা, পরিবেশনায়: থিয়েটার
২৫ ফেব্রুয়ারি সেমিনার
বিকাল ৫.০০টা আনিস চৌধুরী
আনিস চৌধুরীর নাটকে খোলসবন্দী বিত্তহীনের সংকটসমুচয়
জনাব শরিফ সিরাজ জনাব ড. ইনামুল হক জনাব মামুনুর রশীদ
জনাব মীর হুমাযুন কবীর
সন্ধ্যা ৬.৩০টা জিয়া হায়দার
জিয়া হায়দার : আধুনিক নাট্যশিক্ষার বাতিঘর
জনাব আহমেদ ইকবাল হায়দার জনাব সনজীব বড়–য়া
জনাব খায়রুল আলম সবুজ
নাটক মঞ্চায়ন রাত ৮.০০টা নাটক: মানচিত্র (নাটক পাঠ), পরিবেশনায়: আরশীনগর থিয়েটার
রাত ৮.২০টা নাটক: মুক্তি মুক্তি, পরিবেশনায়: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী
২৬ ফেব্রুয়ারি সেমিনার
বিকাল ৫.০০টা সাঈদ আহমদ
সাঈদ
আহমদের নাটক নিরীক্ষা
অ্যাবসার্ড রূপকল্প ও বাংলার মেটাফর এবং উদারনৈতিক মানবতাবাদী ও জাতীয়তাবাদী চেতনার অন্বয়
জনাব শাহমান মৈশান অধ্যাপক আব্দুস সেলিম জনাব মফিদুল হক
অধ্যাপক ড. রশীদ হারুন
সন্ধ্যা ৬.৩০টা এস এম সোলায়মান
রঙ্গমাতন সোলায়মানের নাট্যভুবনে অভিলেখন
অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ জনাব মান্নান হীরা
জনাব নায়লা আজাদ নূপুর
নাটক মঞ্চায়ন রাত ৮.০০টা নাটক: কালবেলা, পরিবেশনা: পালাকার
রাত ৮.২০টা নাটক: গোলাপজান, পরিবেশনা: থিয়েটার আর্ট ইউনিট
নয়নজন নাট্যকারের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
আনিস চৌধুরী (১৯২৯-১৯৯০)
আনিস চৌধুরী (১৯২৯-১৯৯০) জন্ম. ১৯২৯ সালে কলকাতায়। নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে ডিগ্রি লাভ (১৯৫৩)। বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক, পাকিস্তানে বাংলাদেশ সরকারের বহিঃপ্রচার বিভাগের মহাপরিচালক, পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সচিব ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালন। বিশিষ্ট নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক। মধ্যবিত্ত মানুষের দ্বন্দ্ব সংঘাত, দুঃখ-দারিদ্র ও সংগ্রামী চেতনা তাঁর নাটক ও উপন্যাসে নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্কিত। রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক: মানচিত্র (১৯৬৩), অ্যালবাম (১৯৬৫), চেহারা (১৯৭৯), তবুও অনন্যা প্রভৃতি। রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: সরোবর (১৯৬৭), সৌরভ (১৯৬৮), শখের পুতুল (১৯৬৮), মধুগড় (১৯৭৪), ঐ রকম একজন (১৯৮৬)। নাটকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৮) লাভ। মৃত্যু. ঢাকা, ২ নভেম্বর ১৯৯০।
সেলিম আল দীন (১৯৪৯-২০০৮)
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন (১৯৪৯-২০০৮) জন্ম. ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সেনেরখিলে। নাট্যকার, অধ্যাপক ও গবেষক। জাতীয় নাট্যআঙ্গিক নির্মাণের অভিপ্রায়ে ঢাকা থিয়েটার ও গ্রাম থিয়েটার প্রতিষ্ঠা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা। রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, তিনটি মঞ্চ নাটক (মুনতাসির, শকুন্তলা ও কীর্ত্তনখোলা), কেরামতমঙ্গল, যৈবতী কন্যার মন, চাকা, হরগজ, প্রাচ্য, হাতহদাই, মধ্যযুগের বাংলা নাট্য (গবেষণা), একটি মারমা রূপকথা, বাংলা নাট্যকোষ, বনপাংশুল, নিমজ্জন, ধাবমান, স্বর্ণবোয়াল, পুত্র, ঊষা উৎসব ও স্বপ্নরমণীগণ ও ভাঙ্গা প্রেম অশেষ বিশেষ। পুরস্কার: বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৬, নান্দীকার পুরস্কার (ভারত) ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাট্যকার (টেনাশিনাস পুরস্কার) ১৯৯৪, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (একাত্তরের যীশু, শ্রেষ্ঠ সংলাপ), একুশে পদক ২০০৭ ও জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮ (মরণোত্তর)। মৃত্যু. ১৪ জানুয়ারি ২০০৭ ঢাকায়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯৪২-২০০৮)
আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯৪২-২০০৮) জন্ম. আমড়াপাড়া গ্রাম, জামালপুর, ১৩ জুলাই ১৯৪২। অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও চলচ্চিত্রকার। ১৯৪৬-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (১৯৯১-২০০১) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (২০০১)। রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক: শপথ (১৯৬৬), সুবচন নির্বাসনে (১৯৭৪), এখন দুঃসময় (১৯৭৫), চারদিকে যুদ্ধ (১৯৮৩), এখনও ক্রীতদাস (১৯৮৪), কোকিলারা (১৯৯০), মেরাজ ফকিরের মা (১৯৯৭)। নাট্যসংগঠন থিয়েটার-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরিচালিত চলচ্চিত্র: সারেং বৌ (১৯৭৮), সখী তুমি কার, এখনই সময়, জোয়ারভাটা, শেষ বিকেলের মেয়ে। পুরস্কার: নাটকের জন্য বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৮), প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একুশে পদক (২০০০)। মৃত্যু. ঢাকা, ২১শে আগষ্ট, ২০০৮।
সাঈদ আহমদ (১৯৩১-২০১০)
সাঈদ আহমদ (১৯৩১-২০১০) জন্ম. ১৯৩১ সালে ঢাকায়। নাট্যকার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ ও লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকসের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও নাটক বিভাগে কিছুকাল অধ্যাপনা করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাত বছর ধরে বিশ্বনাটক নামক দর্শকনন্দিত অনুষ্ঠান করেছেন। রচিত নাটক: কালবেলা (১৯৬২), মাইলপোষ্ট (১৯৬৪), তৃষ্ণায় (১৯৬৯), প্রতিদিন একদিন (১৯৭৫) ও শেষ নবাব (১৯৮৭)। প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: নাটকের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৪), ফরাসী সরকার কর্তৃক খবমরড়হ ফ’ ঐড়হহবঁৎ (১৯৯৩)। ওয়াশিংটন ডিসির প্রখ্যাত নাট্যশালা অৎবহধ ঝঃধমব এর সামনের দিকের একটি সারি সাঈদ আহমদ রো নামে চিহ্নিত। তাঁর রচিত নাটক ইংরেজী, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান ও অন্যান্য উপমহাদেশীয় ভাষায় অনূদিত ও মঞ্চস্থ হয়েছে। মৃত্যু. ২০১০ সালে।
নুরুল মোমেন (১৯০৮-১৯৯০)
নুরুল মোমেন (১৯০৮-১৯৯০) জন্ম. ২৫ নভেম্বর ১৯০৮, যশোর। শিাবিদ ও নাট্যকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল (১৯২৯) এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি (১৯৫১) অর্জন করেন। লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি বি.বি.সি.-র বাংলা বিভাগে এবং পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরি করেন। বিদেশ থেকে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক: রূপান্তরর (১৯৪৭), নেমেসিস (১৯৪৮), যদি এমন হতো (১৯৬০), নয়া খান্দান (১৯৬২), আলোছায়া (১৯৬২), শতকরা আশি (১৯৬৭), যেমন ইচ্ছা তেমন (১৯৭০) । সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬১) ও একুশে পদক (১৯৭২) লাভ করেন। মৃত্যু. ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০।
জিয়া হায়দার (১৯৩৬-২০০৮)
জিয়া হায়দার (১৯৩৬-২০০৮) জন্ম. পাবনায় ১৮ নভেম্বর ১৯৩৬। নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও এমএ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় এম.এফ.এ ডিগ্রি লাভ (১৯৬৮)। ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে নাট্যকলা শাখার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা (নভেম্বর ১৯৬৮) এবং প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ থিয়েটার আর্টস (বিটা) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৭ সালে নাটকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ। নাট্য বিষয়ে গবেষণা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য লাভ করেছেন আমেরিকান রিসার্চ ফেলোশিপ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ফেলোশিপ, গ্যেটে ইনস্টিটিউট ফেলোশিপ। মৃত্যু: ২৯ সেপ্টে¤¦র ২০০৮।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২-১৯৭১)
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২-১৯৭১) জন্ম. ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে। কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার। কুড়িগ্রাম হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯৩৯), ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ (১৯৪১) এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে ডিস্টিংকশনসহ বিএ (১৯৪৩) পাস করেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তিনটি উপন্যাস- লাল সালু, চাঁদের অমাবস্যা ও কাঁদো নদী কাঁদো; দুটি গল্পগ্রন্থ- নয়নচারা (১৯৫১) ও দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক- বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। তাঁর রচনায় তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভণ্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদি তুলে ধরেছেন। দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। মৃত্যু. ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে।
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১)
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১) জন্ম. ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জে। শিাবিদ, নাট্যকার ও সাহিত্যসমালোচক। শিা: বি.এ অনার্স (১৯৪৬), এম এ (১৯৪৭) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে এম.এ (১৯৫৮) ডিগ্রি লাভ করেন। জেলে বন্দি অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচনা করেন তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ‘কবর’ (১৯৫৩)। মৌলিক নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৫৯), চিঠি-তে (১৯৬৬) কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৭), রূপার কৌটা (১৯৬৯), মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) ইত্যাদি । তাঁর একটি বিশেষ কীর্তি বাংলা টাইপ রাইটারের কি-বোর্ড (১৯৬৫) উদ্ভাবন, যা মুনীর অপটিমা নামে পরিচিত। তিনি নাটকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২) ও দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫) লাভ করেন। মৃত্যু. ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।
এস এম সোলায়মান (১৯৫৩-২০০১)
এস এম সোলায়মান (১৯৫৩-২০০১) জন্ম. ১৯৫৩ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর, ভারতের আসাম রাজ্যের ডিগবয়ই শহরে। পিতা: আহমেদ মিয়া, মাতা: আছিয়া খাতুন। নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, গায়ক ও সংগীতকার। বাংলাদেশের নবনাট্য আন্দোলনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর রচিত ও নির্দেশিত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ইংগিত, এই দেশে এই বেশে, কোর্ট মার্শাল, গোলাপজান, আমিনা সুন্দরী, গণি মিয়া একদিন, আহ্ কমরেড, ইন্সপেক্টর জেনারেল, জনতার শত্র“, বার্থ ফ্যান্টাসী, স্বপ্ন দ্যাখো মানুষ, খ্যাপা পাগলার প্যাচাল প্রভৃতি। তাঁর রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘অফ ব্রডওয়ে’ আমেরিকার প্রথম বাংলা নাটক হিসেবে মঞ্চায়নের গৌরব অর্জন করে। পুরস্কার: একুশে পদক (২০১৪)। মৃত্যু. ২২ সেপ্টেম্বর, ২০০১।