বইমেলায় প্রথমার স্টলে পাওয়া গেল জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক-কে। তিনি বলেন, এবার মেলা অন্যান্যবারের চাইতে ভিন্ন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলাকে বর্ধিত করায় পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য বেশ আরামদায়ক হয়েছে। পাঠক একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী দুই জায়গাতেই ঘুরে-ফিরে বই কিনছেন। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, মেলার পুরো আবহ বুঝতে পাঠকের কিছুদিন সময় লাগছে। সবমিলিয়ে বলা যায় মেলা এ পর্যন্ত বইপ্রেমী পাঠকের আগমনে মুখরিত ও উজ্জ্বলতর হয়ে আছে। তবে শুরুতেই যেমনই হোক মেলায় এখন থেকে বেঁচাকেনা ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে ফাল্গুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে থেকে মেলায় চিরচেনা রূপ ফিরে এসেছে। যারা এই মেলায় আসছেন তারা যেন একটি হলেও ভালো বই কিনেন।
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় আনিসুল হকের ৮টি নতুন বই প্রকাশ হয়েছে।
বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদার বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। মেলা না হলে আসলে মেলার উৎসবও হয় না। আমার মনে হয় বাঙালি পাঠকরা যে অপেক্ষা করতে জানে না এটা ঠিক নয়। অন্তত বই কেনার জন্য একটা বছর তারা অপেক্ষা করে। আর এবারের মেলাটা একটু ভিন্নতর। মেলাটাকে প্রসারিত করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়া হয়েছে। তবে মেলার প্রাণ থাকবে কি না আমার সন্দেহ আছে। বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে মেলার যে প্রাণটা ছিল, যে উত্তেজনাটা ছিল, যে আবেগটা ছিল, সেটা বোধহয় হোঁচট খাবে প্রাথমিকভাবে। তবে এটা আস্তে আস্তে সয়ে যাবে।