পটুয়াখালীর পত্রিকা,সংকলন,ছোট কাগজ
–মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স-
পটুয়াখালী শহর থেকে নিয়মিত কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে থাকে। পটুয়াখালীর প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র কেএম এনায়েতুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক রুপান্তর। এরপর আনোয়ার হোসেনর সম্পাদনায় দৈনিক সাথী,গোলাম কিবরিয়ার সম্পাদনায় দৈনিক গণদাবী, এডভোকেট আলমগীর হোসেনর সম্পাদনায় দৈনিক তেতুলিয়া, তারিকুজ্জামান মনির সম্পাদনায় দৈনিক পটুয়াখালী বার্তা ও ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলামের সম্পদনায় দৈনিক পটুয়াখালী প্রকাশিত হয়।
সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে এক সময় পায়রা ও প্রিয় কাগজ প্রকাশিত হলেও বর্তমানে তা প্রকাশিত হচ্ছে না। এছাড়া পাক্ষিক মেঠোবার্তা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। পটুয়াখালী থেকে মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স সম্পাদিত কোষ্টাল নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম,জাকারিয়া হৃদয় সম্পাদিত পটুয়াখালী নিউজ ডট কম, হাসান মাহমুদ পলাশ সম্পাদিত পটুয়াখালী ওয়েব,রাঙ্গাবালী নিউজ ও বাউফল নিউজ,সাগরকন্যা নামে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এক সময় নিয়মিত প্রকাশিত হলেও এখন তা নিয়মিত আপডেট হয় না।
পটুয়াখালী থেকে ১৯৩৪ সালে “পল্লীসেবী” নামে প্রথম একটি সাময়িকি প্রকাশিক হয়। এটি সম্পাদনা করেন সিরাজুদ্দীন। এরপর ১৯৫১ সালে কবি খোন্দাকর খালেকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মাসিক “চাবুক”। আরো পরে সাহিত্যানুরাগী সাংবাদিক নুরুল হক বিশ্বাস এর সম্পাদনায় ১৯৬৪ সনের ডিসেম্বরে পটুয়াখালী সাহিত্য মজলিস নামক একটি সাহিত্য সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংগঠনের উদ্যাগে পায়রা, আন্ধারমানিক, এসো বন্ধন গড়ি প্রভৃতি সাহিত্য সংকলণ প্রকাশিত হয়। ১৯৮০ইং সনের দিকে কবি শাহ মোহাম্মদ মতিউর রহমান এর সম্পাদনায় “অনুরুপা” নামক সাহিত্য সংকলণ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৪ সনে “জেলা লেখক সমিতি”র মুখপাত্র হিসেবে “অন্বেষা” নামক ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য সংকলণ নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে। পরবর্তী সময় “পঙতি” নামক অনিয়মিত ভাবে বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করে সংগঠনটি। ১৯৮৩ সনে “আত্মবিকাশ” নামে একটি সৃষ্টিশীল সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাহিত্যানুরাগী মুহাম্মদ আজিজুল হক, পটুয়াখালী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল মাজেদ হাওলাদার, প্রবীন শিক্ষানুরাগী রাজনীতিক মাওলানা এ, বি, এম নূরুল হক, প্রবীন রাজনীতিবীদ বাকসম্রাট বি, ডি হাবিবুলাহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ। ১৯৮৬ইং সনে “আত্মপ্রকাশ” নামক সৃজনশীল সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করে। একই বছর শিবুলাল খাসকেলের সম্পাদনায় দীপ্ত শিখা ও সন্ধ্যা প্রদীপ নামে দুটি কাগজ রের হয়। ১৯৯১ইং সনে সাংবাদিক, কবি কাইয়ুম আহমেদ জুয়েল এর প্রচেষ্টায় “আগুনমুখা” নামক সৃজনশীল সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করতে থাকে। এছাড়া এ বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে প্রত্যয়, উচ্ছাস, সূর্য্যদয় প্রভৃতি সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করে। এসব সংকলনগুলোর সম্পাদনায় ছিলেন কবি মেজবাহ উদ্দিন বাবলা, সাংবাদিক কাইয়ুম আহম্মদ জুয়েল, সাংবাদিক শাহ্ মাহমুদুর রহমান প্রমূখ। ১৯৯২ইং সনে “লিখন” নামক সাহিত্য সংকলণ এবং ‘উত্তরণ’ নামে সংকলণ প্রকাশ পায়।
১৯৯৭ইং “বিকিরণ” নামক ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ
করে বিকিরন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি রক্ষায় শাহ মাহমুদুর রহমান ২০০০ইং সনে পটুয়াখালীতে “চেতনা” নামক সৃজনশীল সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করেন। ২০০২ইং ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য কাগজ “ময়ূখ” প্রকাশিত হয়। একই বছর ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য কাগজ “শব্দমালা” প্রকাশিত হয়। ২০০৪ইং সনে পটুয়াখালী “পটুয়া” নামক সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করেন কিছু উদ্যোমী তরুন। এছাড়া আরো যে ছোট কাগজ প্রকাশিত হয় তাহলো “সাইমুম” “আলোর দিশারী” “কাছাকাছি” “আলিঙ্গন” “তিলোত্তম” “প্রসূন” “ওরা কাঁদে” “স্বাক্ষর” “সূচনা” “অংকুর”। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিক দখিনের কবিয়াল সংগঠনের উদ্যোগে কবিয়াল নামে একটি সংকলন বের করে চলছেন। এর বাইরে কুয়াশা মূর্খের সম্পাদনায় “বৈঠা” নামে একটি ত্রৈমাসিক সংকল বের হচ্ছে পটুয়াখালী থেকে।##