তারিখ সালাহউদ্দিন মাহমুদ এর ‘আমাদের আবৃত্তি কথা’
মাও সে তুং চিন্তাধারার দুই বিশ্বদৃষ্টি কোন দেখায় ভাববাদী জঞ্জালের অন্তসার শূণ্যতা এবং পত্তন করে সংগ্রামী বস্তুবাদের। ইতিহাস বিজ্ঞান সংস্কৃতিতে যেমন বস্তবাদ জরুরী ঠিক তেমনি আবৃত্তি কলায়ও এর স্পর্শ জরুরী নয়তো আবৃত্তি শিল্পকে বাঁচান কঠিন হবে। আবৃত্তিতে বস্তবাদ প্রয়োগের ফলে তাতে অভাবিত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। অপরদিকে ভাববাদ আবৃত্তিকলাে অন্ধগলিতে নিয়ে যায় নিয়ে যাচ্ছে। আজ ভাবাদীতার প্রভাবের ফলে আবৃত্তি দুনিয়া জুড়ে শুকিয়ে মরতে বসেছে। ভাববাদের প্রভাব দুষ্ট নন্দন তত্ব কলা কৈবল্যবাদ শেখায় আবৃত্তি চর্চায় যান্ত্রিক উচ্চারণ রীতি কবিতার ছন্দ শব্দ সুর প্রয়োগের অবশ্যাম্ভাবিতা। চলমান আবৃত্তির বা আধুনিক আবৃত্তির শিক্ষক ও ছাত্রকুল অনুসরণ করেন কলাকৈবল্যবাদ বা শুধু শিল্পের জন্যেই শিল্প এই নান্দনিকতা। কিন্তু তাতে কি কাজ হয়? আজকের যুগে কি আবৃত্তি Art হিসেবে দাঁড়াতে পারছে? বিশ্বের কোথাও ইা তা পারছে না। পারছে না এর কারণ প্রচলিত উচ্চারণরীতি কবিতার ছন্দ এবং গানের সুর রবীন্দ্রনাথ পরিস্কার করে দেখিয়েছেন তা কবিতার বিষয়কে আড়াল করে। শিল্পে যদি বিষয় অনুপস্থিত থাকে তবে তা দৌড়বে কি করে? তাই ইয়েনান ফোরামে মাও সে তুং বলেছেন – শিল্পকে বিষয় থেকে শুরু করতে হবে এবং সম্ভব করতে হবে বিষয় ও রূপের একত্ম।
এ প্রসংগে কার্ল মার্কসের বক্তব্য হ’ল – “Form is bereft of any kind of meaning. If it is not form for some specific content. When the content of a work can be separated from its form or form from its content then as a rule this shows that a work lacks both artistic content and artistic form.” মার্কসের এই সূত্র যদি আমরা আবৃত্তি কলায় প্রয়োগ করি তবে তাতে ঘটে যাবে এ বিপ্লব। যা গোটা দুনিয়ার আবৃত্তির আলো হাওয়া পাল্টে দিতে পারে।
আবৃত্তিকারগণ আবৃত্তির বই ঘেঁটে আবৃত্তি করেন। আবৃত্তির পাঠদানকালেও আবৃত্তির বই উপায় হিসেবে দাঁড়ায়। কিন্তু আবৃত্তির বইপত্র যে বিচ্যুতি বিভ্রমে ভরপুর এ কথা কে কাকে বোঝাবে? আবৃত্তি যে বিষয় ভিত্তিক-উল্টো ফর্ম ভিত্তিক নয় তা আবৃত্তির বইপত্র বলে না। তাই বাস্তবে দেখা যায়, আবৃত্তিকালে বিষয় লোপ পায় সম্মুখে আসে উচ্চারণ বিধি কবিতার ছন্দ এবং শব্দের সুর বা Syllabic Song. আর তাতে দেখা যায় কৃত্রিম ভাবাবেগ। এ করে আবৃত্তি শিল্প হয় না, হ’তে পারে না এবং হ’চ্ছেও না। এর একটি বিহিত আবশ্যক কেননা জনসমুদ্রে চড়া হতাশ অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর বিহিতের দায় ভার আবৃত্তি শিল্পীকেও নিতে হবে।
মানুষের ইতিহাস সংস্কৃতি বিজ্ঞান ইত্যাদি ক্রমবিবর্তনের এক ফল। আবৃত্তি এই নিয়মের বর্হিভূত নয়। এই সূত্রে সম্ভবত রোমে আধুনিক আবৃত্তির সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটে। সেটা ষোড়শ সপ্তদশ শতকের কথা। এরপর থেকে আবৃত্তির আর বিকাশ নেই। অথচ মানুষের চিন্তা চেতনা বিকশিত হচ্ছে তাদের দাবী বেড়েছে। তার সাথে সংগতি রেখে আবৃত্তি আর এগুতে পারছে না। বস্তুতঃ জগতের সকল আধুনিক আবৃত্তি রোমের সেই পুরোন দিনের আবৃত্তির চর্বিত চর্বন মাত্র। ফলতঃ আবৃত্তি আন্দোলন আজ স্থবির অচল। অথচ গ্রীসের আদিকালের বা লোক আবৃত্তি আশ্চর্য সব কথা বলে। তার আলোকেই Nigation of nigation বা নেতার নেতীকরণ এই সুত্র ধরে আজ আবার ইতিহাস ঐতিহ্যের ভিত্তিতে আবৃত্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। আদিকালের আবৃত্তিতে বিষয় ও রূপের একত্ম ছিল।
মার্কস বাদী নন্দন তত্ত্ব আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে, আবৃত্তিকলায় বিষয়কে ভিত্তি করতে হবে তার আলোকেই মনের ভাব আবেগ জন্মাবে যা রূপরীতির উপাদান। মনে রাখা জরুরী যে, কবিতার ছন্দ দিয়ে প্রকৃত ভাব – আবেগ প্রকাশ করা যায় না। যান্ত্রিক উচ্চারণ দিয়েও কবিতার বিষয়ে যাওয়া যায় না। তার জন্যে চাই সজ্ঞান সচেতন উচ্চারণ রীতি। কি বলছি কেমন করে বলছি তা জ্ঞানের ভিতর থাকা চাই। তা করতে হলে কবিতার ছন্দ নয় আবৃত্তির নিজস্ব ছন্দকলার পত্তন করতে হবে। তা হলে ঘটনাটি কি দাঁড়ালো? আমরা বস্তবাদীরা এটাই বলতে চাচ্ছি যে, আবৃত্তির জন্যে যান্ত্রিক উচ্চারণ বা কবিতার ছন্দের প্রয়োজন নেই যা আধুনিক আবৃত্তির একান্ত কথা – শুদ্ধ উচ্চারণ কবিতার ছন্দ এবং কৃত্রিম ভাবাবেগ। দরকার সচেতন সজ্ঞান উচ্চারণ রীতির। ভাব প্রকাশের জন্য অপরিহার্য আবৃত্তির ছন্দ। তা যদি নিশ্চিত করা যায় তবে আবার আবৃত্তি প্রাচীন গ্রীসের আবৃত্তির মত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। নয়তো নয়। শত চেষ্টা করেও আধুনিক আবৃত্তি কালকে পাচ্ছে না আজ।
আমাদের এই সব কথা ভাষ্য সম্ভবত এখন কি করে আমরা বস্তুবাদী আবৃত্তি বানাবে অর্থাৎ প্রকৃত আবৃত্তির প্রক্রিয়াটি কি হবে তা বুঝতে চাইবে। আমাদের আবৃত্তি ভাবনার প্রয়োগিক ধরণটি কেমন হবে? একটি কবিতার কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করে বস্তুবাদী আবৃত্তি করার নিয়ম-রীতিটি আমরা বুঝবার চেষ্টা করবো। যেমন – কবি জীবনানন্দ দাশ এর কবিতা অন্ধকার -এর কিছু অংশ নিম্নরূপ
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীল ছল ছল শব্দে বেঝে উঠলাম আবার;
তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরনীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া
গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে।
আবৃত্তির আগে প্রথমত আমরা পংক্তিগুলো মুখস্থ করে ফেলবো। অত:পর এর অর্থ, মর্ম, তাৎপর্য জানবো এবং বুঝবো। উপলব্ধি করবো। তার পরের কাজ হ’বে পংক্তি চারটি আত্মস্থ করা। এই কাজগুলো নিষ্পন্ন করার পর আবৃত্তিতে যেতে হবে। আবৃত্তি করার সময় প্রতিটি শব্দ বা শব্দপুঞ্জ বুঝে উপলব্ধি করে সচেতনভাবে এক অর্থভাবসহ আবেগে ও আবৃত্তির ছন্দে প্রকাশ করবো। সংক্ষেপে এই হোল প্রাগ্রসর আবৃত্তির কথা। তা হ’লো কথা দাঁড়াল প্রথমে আমরা অন্ধকার কবিতার পংক্তিগুলো মুখস্থ করবো তার পরের কাজ হবে প্রতিটি শব্দ বা শব্দ সমুদ্বয় জেনে বুঝে উপলব্ধি করে সচেতনতাসহ এর অর্থ ভাব আবেগসহ আবৃত্তি কলার ছন্দে প্রকাশ করা। কথা উঠবে আবৃত্তির ছন্দটি কি? এর উত্তর এককথায় Time and pitch. অর্থাৎ একটি শব্দ উচ্চারণের পর অপর শব্দ বলবো সংগতি রেখে ঝোঁক দিয়ে। এই হোল আবৃত্তির ছন্দের কথা।
তা হ’লে এবার কবিতার পংক্তিগুলোর অর্থ ভেদ করা যাক।
‘গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছল ছল শব্দে জেগে উঠলাম’- আবার এর অর্থ বুর্জুয়া সমাজে চলতে গিয়ে হৃদয়ে যে গভীর অন্ধকার দেখা দিয়েছে তা থেকে বেড়িয়ে এলেন কবি প্রগতিশীল সংগ্রাম ও তার ধ্বনি মিটিং মিছিলের কারণে। কবি সজ্ঞান সচেতন হয়ে উঠলেন শ্লোগানে শ্লোগানে।
‘তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে যেন কীর্তিনাশার দিকে’ – অর্থাৎ ধনবাদী সভ্যতার আলো মৃয়মান হয়ে এসেছে। নিন্ডভ সভ্যতা আবার তার অর্ধেক সম্পদ ও শক্তি যুদ্ধ মারনান্ড তৈরীতে নিয়োজিত করেছে। বিধৃত পংক্তিগুলোর অর্থভাবসহ এবার আমরা আবৃত্তি করবো।
তা হ’লে এবার আবৃত্তি করা শুরু করা যাক। গভী……….র। গভীর শব্দটি এভাবে টেনে চেতনার গভীরে প্রবেশ করে ভাবাবেগ দিয়ে বলবো। ‘গভী’ বলার পর টান পড়বে কণ্ঠে প্রকাশে অভিব্যক্তিতে। অত:পর ছন্দ সংগতি নিশ্চিত করে ‘র’ এই বর্ণটি উচ্চারণ করবো। অন্ধকারের এক অর্থ হৃদয়ের দূষণ যা ধনবাদী সভ্যতা মানুষের মনে মন্ম দেয়। এই বাস্তবটি ভাবে, আবেগে ছন্দে প্রকাশ করতে হবে। অন্ধ/কারের/ কিছুটা টেনে হৃদয়ের আঁধার চিত্র রূপময় করে দুই পর্বে শব্দটি প্রকাশ করবো। বলা বাহুল্য পূর্বাপর সব ক্ষেত্রে জাগ্রত চেতনা কাজ করবে। ঘু………..ম। এভাবে টেনে ঘুমের অনুভব আবেগে আবেশে প্রকাশ করতে হ’বে। অত:পর বলবো থেকে/এই পর্ব সাধারণ কথার মত করে উচ্চারণ করতে হ’বে। নদী….র/ দীর্ঘ টান দিয়ে শব্দটি ওরকম করে উচ্চারণ করতে হবে তাতে যেন এর অর্থভাব আবেগে ছন্দে মুর্ত হয়ে ওঠে। নদীর প্রতীকী অর্থ হচ্ছে সময়। ছল/ছল/শব্দে…/ এর অর্থ মিটিং মিছিলের শ্লোগানে। এর অর্থ মাথায় রেখে আবৃত্তির ছন্দে ভাবে আবেগে শব্দগুলো আবৃত্তি করবো।
জে…গে/উঠলাম/আবা…র/ একটু টেনে জেগে শব্দটি বলবো/উঠলাম শব্দটি স্বাভাবিক সাধারণ কথার মত করে বলতে হবে। আবার/শব্দটি এর ভাবসহ প্রকাশ করবো অবশ্যই সচেতনতা সহ ছন্দে আবেগে। এর অর্থ কবি অন্ধকার জগত থেকে বেরিয়ে এসে আবার সচেতন হয়ে উঠলেন। তা…কি…যে/ বলবো টেনে যথারীতি পূর্বের নিয়মে। দেখলাম – বলতে হ’বে সাধারণ কথার মত করে। এর অর্থ কবি জ্ঞান করলেন। পান্ডুর চাঁদ – উচ্চারণ করবো শুদ্ধ স্বাভাবিক কণ্ঠস্বরে। অর্থ ঘৃয়মান সভ্যতা। বৈ…তর…নীর/এ রকম টেনে উচ্চারণ করতে হবে ভাবযোগে। এর অর্থ সভ্যতার আলো থেকে/উচ্চারণ করবো ঝোঁক দিয়ে সাধারণ কথার মত করে। তার/অর্ধেক ছা…য়া/এই রীতিতে তিন পর্বে বলবো। গুটিয়ে…নি/…য়েছে। যেন/কীর্তি…না…শার দিে যথারীতি এই শব্দগুলো উচ্চারণ করবো পূর্বের শব্দগুলোর মত করে। শব্দগুলো ভয়ার্ত উদ্বেগজনক কণ্ঠে বলবো কেননা মৃয়মান সভ্যতা তার অর্ধেক শক্তি অর্থ সম্পদ ব্যয় করতে যাচ্ছে যুদ্ধ মারনাস্ত্রের পেছনে। এই সব কথা ভাষ্যের শিল্পরূপ দিতে হ’লে সজ্ঞান উচ্চারণের সংগে আবৃত্তির ছন্দ ও আবেগ থাকা চাই। ছন্দের কথা আমরা ইতিপূর্বে বলেছি- Time and pitch.
প্রগতিশীল আবৃত্তি শিল্পে আবেগটি কেমন হবে যা শ্রোতা সাধারণকে Communicate করবে তার কথা এখন বলবো। তা বলতে যেয়ে একটি উদাহরণ চোখের সামনে রাখবো। ঘটনাটি এই – এক বিখ্যাত চলচিত্র পরিচালক নায়িকাকে সিকোয়েন্স বুঝিয়ে প্রাণঘাতি চিৎকার দিতে বললেন। চিত্র নায়িকা বার কয়েক চেষ্টা করলেন তাতে পরিচালক সন্তুষ্ট হ’তে পারলেন না। শেষে চিত্র গ্রাহক আলোক নির্দেশক শব্দ গ্রাহ সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বললেন। অত:পর পরিচালক মহোদয় একটি বার্মা চুড়ট ধারালেন। চুড়ট জোর টান দিয়ে চুড়টের আগুন গনগনে করে তুললেন। শেষে করলেন এক কান্ড চুড়টে লম্বা টান দিয়ে তার আগুন নায়িাকার পিঠে চেপে ধরে বললেন চিৎকার দাও। আগুনের শেকের যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে নায়িকা এবার আসল চিৎকার দিলেন আঃ আঃ আঃ প্রাণ থেকে উঠে আসা সে চিৎকার। এবার পরিচালক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন হয়েছে। রেকডিং-এর পর দেখা গেল Natural আবেগটি বেড়িয়ে এসেছে নায়িকার যন্ত্রণা ক্লিষ্ট কণ্ঠ থেকে।
আবেগ বলতে আমরা এ রকম ব্যাপারকেই বুঝবো তা প্রাণের গভীর থেকে নিসর্গ রূপে বেড়িয়ে আসবে তবেই তা শ্রোতাকে জাগাবে সচেতন করে তুলবে। এতক্ষণ প্রাগ্রসর বা প্রগতিশীল আবৃত্তি সম্পর্কে যে কথাগুলো উচ্চারণ করলাম তার জন্যে মনযোগী হ’তে হবে পরিশ্রম করতে হবে। অবিরাম চর্চার পরই কেবল হাতে ফল আসবে, নয়তো কথা কথাই থেকে যাবে। আর যদি এভাবে আবৃত্তির সঠিক চর্চা হয় তবে আশা করা যাক বাংলাদেশের আবৃত্তি বিশ্ব আবৃত্তি আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তাতে দেশের সুনাম বাড়বে।
আর এক কথা সাবাই চান আবৃত্তি শিল্পে অর্থ ও ভাবের প্রকাশ। কিন্তু তা কি সম্ভব হচ্ছে? না আজ অবদি তা সম্ভব হোচ্ছে না। হচ্ছে না কারণ এর উপায়ের জন্য আবৃত্তিকার যান্ত্রিক উচ্চারণ রীতি এবং কবিতার ব্রন্দ অবলম্বন করেন। তাতে বিষয় ও ভাবাবেগ এক রকম লোপ পায়। তাই আমরা বলি অর্থ ভাবকে প্রকাশ করতে চাইলে সচেতন প্রতিফলন ও আবৃত্তির ব্রন্দ আবশ্যক। তা লিশ্চিত হ’লে প্রতিটি শব্দ এর অর্থ আবেগ সহ উঠে আসবে এবং রচনা করবে আবৃত্তি শিল্পের বিস্ময়। সংগ্রামী বস্তুবাদ প্রয়োগের কারনেই কেবল তা সম্ভব। কলা কৈবল্যবাদ প্রয়োগের ফলে জগতের কোথাও আজ আবৃত্তি তার মহিমা নিয়ে দাঁড়াতে পারছে না। আবৃত্তির জন্য আবশ্যক দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী নন্দনতত্ব তবেই কেবল ইতিহাসের প্রাণ শক্তি নিয়ে আবৃত্তি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বিনির্মান করবে সৃষ্টির বিস্ময়। পত্তন করবে আবৃত্তির এক নয়া যুগ।