টাকা নেই এটিএম বুথে : আতঙ্কিত মানুষের লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাহিত্য বাজার

Sharing is caring!

Photo0318

মিরপুর ১১ ব্রাক ব্যাংকের বুথের দৃশ্য

অজ্ঞাত কারণে রাজধানীর কোনো এটিএম বুথে টাকা রাখছেনা ব্যাংকগুলো। গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের আশংকায় দু’একটি বুথে মানুষের দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষের মনে শংকা। কি হচ্ছে দেশে, কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকার পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির এটিএম বুথগুলোতে কোনো টাকা তুলতে পারেনি মার্কেটিং করতে আসা ক্রেতারা। এসময় ব্রাক ব্যাক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, অবরোধ ও হরতাল যতদিন চলবে ততদিন ব্যাংক সংলগ্ন বুথ ছাড়া কোথাও টাকা পাওয়া যাবেনা। এতে অনেকে ছুটে যান নিকটস্থ ব্যাংক এশিয়া সংলগ্ন ব্যাক এশিয়ার নিজস্ব বুথে। সেকানেও টাকা ছিলনা ৯ জানুয়ারি ২০১৪।

অনুসদ্ধানে দেখা যায় শাহবাগ মোড় ডাচবাংলা ব্যাংক, ফার্মগেট, মিরপুর আলহেলাল হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত ব্রাক ব্যাংক সংলগ্ন বুথসহ নগরীর প্রায় কোনো বুথেই এ সময় টাকা ছিল না। সন্ধ্যার পর মিরপুর ১১ নং বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাক ব্যাংক এর বুথে টাকা এসেছে সংবাদে মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। রাত ১০ টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলছিল নারী-পুরুষ উভয়েই।

এ সময় লাইনে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে আতংক ভর করে ছিল। তাদের আলোচনার বিষয়ও ছিল- কেন এই ভোগান্তি। কি হচ্ছে দেশে? তবে কি সাধারণ মানুষের কপালে আরো অনেক দুর্ভোগ লেখা হচ্ছে?

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকেই। এটাই নিয়তি। যুগ যুগ ধরে এটাই হয়ে আসছে এই দেশে। একজন এটিএম ধারকের এ বক্তব্যে প্রতিবাদ করে ওঠেন আরেকজন এটিএম ধারক যুবক। কেন এটা সহ্য করছি আমরা? কেন আমরা সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করছি না?

তাতে কি হবে?

কিছু না হোক। অন্তত তারা যে আমাদের চাকর এটা তাদের বুঝাতেতো হবে।  পুলিশ ও প্রশাসনের বেদনটা যে আমাদের এই ভ্যাট ও ট্যাক্স থেকে আসে এটা তাদের বুঝানো খুবই জরুরী।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!