পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলামে হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী ও কায়মনে বা একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করার নিয়ে জুম্মার খুতবায় পৃথক পৃথক আলোচনা করেছেন মুফতি মুহম্মাদ সাইফুল্লাহ ও মাওলানা সাঈদ আহমদ।
বরিশাল প্রতিনিধি বাকেরগঞ্জের দুধল মাদ্রাসার পীরজাদা মুফতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০ মার্চ শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের উপস্থিত মুসল্লিদের প্রতি পীরজাদা যে আলোচনা রেখেছেন, সেখানে হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী কখনো প্রকৃত মোমিন হতে পারে না বলে দাবী করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি যুদ্ধের ময়দানে হযরত আলী (রাঃ)এর মুখে একজন কাফেরের থুথু নিক্ষেপের বিষয়টিকে তুলে ধরেন। হযরত আলী (রাঃ) ঐ কাফেরকে হত্যা না করে মুক্ত করে দেন, কারণ কাফেরটি তার মুখে থুথু দিয়েছিল। এরফলে তাকে হত্যা করা হলে বিষয়টি হিংসাত্মক আচারণ হয়ে যেত।
সাইফুল্লাহ এ সময় পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা থেকে একটি অংশ পাঠ করে তা তরজমা করেন। যেখানে পবিত্র কোরআনকে বুঝে ও অনুধাবন করে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ আছে ও বলা হয়েছে – তবে কি তোমরা যারা গ্রন্থপাঠ করছো, তারা তা অনুধাবন করছো না, তাহলে তোমরা অবশ্যই জাহান্নামী।
একইসময়ে ঢাকার মিরপুরের ৬ নং সেকশন সি ব্লকে বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা সাঈদ আহমেদ একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায় করার বিষয়ে মুসল্লীদের সতর্ক করেন ও পবিত্র কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মুসলমান যে সে অবশ্যই নামাজ আদায় করবে এবং তা অবশ্যই কায়মনে বা একাগ্রচিত্তে হতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শরীর ও মনের একাগ্রতা চেয়েছেন এই একটি স্থানে। তিনি বলেন, মন না চাইলেও জাকাত দেয়া যাবে, রোজা রাখা যাবে, হজ্জ্বও পালন হয়ে যাবে। কিন্তু নামাজ হবেনা, বরং আপনার অনাগ্রহের নামাজকে পুরাতন কাপড়ে পেচিয়ে আপনার মুখে নিক্ষেপ করা হবে। নামাজ আদায়ের সময় অবশ্যই মনকে স্থির রাখার চেষ্টা করতে হবে, তাতে মন স্থির হোক বা না হোক।