কসম আল্লাহর, যে মুসলমান নিজের ধর্ম ও ধর্মের ইতিহাস ভালো ভাবে জানেনা, তার চেয়ে বড় মূর্খ আর কেউ নেই। দেশজুড়ে আজ যে সহিংসতা, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা, নির্যাতন চলছে – এই সব কিছুর সমাধান আমাদের ইসলামে রয়েছে। নবীজী জীবনীতে পরিস্কার ভাবে এসব সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। মক্কা বিজয়ের পর আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা কেন মুসলমান হয়েছিল তা জানুন। অবিশ্বাসী আবু জাহেলের স্ত্রী যখন সাহাবাদের মধ্যে এসে হাতে পাথর নিয়ে নবীজীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার জন্য ঘুরছিল ও গালাগাল করছিল তখন সাহাবারা কি করেছেন তা জানুন। পবিত্র কোরআন ও হাদিস ই হচ্ছে বিশ্ব শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ। যারা এ থেকে যত দূরে সরে যাবে, তাদের মধ্যে অশান্তি ততই বাড়ছে এবং ভবিষ্যতেও বাড়বে।
মিরপুর ৬ নং সেকশন বায়তুল ফালাহ মসজিদে জুম্মার খুতবায় এভাবেই নবীজীর জীবন চরিত তুলে ধরেন মসজিদের ইমাম মাওলানা সাঈদ আহমদ। তিনি বলেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় আমেরিকা ইউরোপ কি বলছে আমরা সে দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আমার ইসলাম কি বলছে তা একবার জানারও চেষ্টা করিনা। ইউরোপ বা আমেরিকা আজ যে সমাধান খুজঁছে, ইসলাম সাড়ে চোদ্দ শত বছর আগে সেই সমাধান দিয়ে গেছে। বদরের যুদ্ধে বন্দি ৭০ জন কাফেরকে নিয়ে নবীজী কি করলেন তা পড়ে দেখুন। তাদের মুক্ত করা হলে ৭০ জন সাহাবী পরবর্তীতে শহীদ হবেন, এটা জেনেও সাহাবারা তাদের মুক্ত করে দেন।
যে হিন্দা যুদ্ধে শহীদ মুসলমানদের কলিজা চিবিয়ে খেয়েছে, মক্কা বিজয়ের পর সেই হিন্দা কেন মুসলমান হয়েছে? কারণ মুসলমানরা তার প্রতি কোনো বিদ্বেষ দেখায়নি,বরং তার মঙ্গলের প্রার্থনা করছিল, যা নিজকানে হিন্দা শুনতে পায় ও আবু সুফিয়ানের কাছে ছুটে যেয়ে বলে – আমার স্বামী আমাকে এখনি নবীজীর কাছে নিয়ে চল ও আমাকে ইসলাম গ্রহণ করার ব্যবস্থা করে দাও।
ইমাম বলেন, আমাদের প্রতিবেশী, সে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যে ধর্মের মানুষ হোক না কেন, তার প্রতি ভালো ব্যবহার করাই শধু নয়, তার যেন কোনো কষ্ট না হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে পবিত্র কোরআনে। এর চেয়ে বড় সমাদান আর কি হতে পারে?