১৪ই মার্চ, শুক্রবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ২ দিনব্যাপী ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০১৪ উদ্বোধন ঘোষনা করেন কথাসাহিত্যিক শওকত আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কবি বেলাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কণ্ঠশীলন সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
ছায়ানটের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীত ও সম্মেলন গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী আবৃত্তি পরিবেশন করেন কণ্ঠশীলন এর আবৃত্তিশিল্পীরা। এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে টিএসসি হয়ে ঘুরে আসে। দুপুর ২.৩০মিনিটে কণ্ঠশীলন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও কথনপর্বের পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের শিল্পীরা।
সীমার মাঝে অসীম তুমি, বাজাও আপন সুর শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলন-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রয়াত ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে এবং একইসাথে সাহিত্যে বাচিকচর্চা ও প্রসারের এই সংগঠনটি আগামী মাসে ৩০ বছর পূর্ণ করার আনন্দে এই উৎসবের আয়েজন বলে জানালেন অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব গোলাম সারোয়ার।
তিনি জানান, গত ২৭শে জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হক প্রয়াত হয়েছেন। ওয়াহিদুল হক মৃত্যু পর্যন্ত যেমন কণ্ঠশীলন ভাবনাকে ধারণ করেছিলেন তেমনি তিনি এক স্বপ্ন লালন করেছিলেন যে, – কণ্ঠশীলনের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সারা দেশে কণ্ঠশীলন কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দেয়া। আমরা তাঁর সেই স্বপ্ন এবং কণ্ঠশীলন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন লক্ষ্যে কণ্ঠশীলন দীক্ষিত সকল সদস্যদের মাঝে এই পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেয়ার ব্রত নিয়ে দুই দিনের এই অনুষ্ঠানমালার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কণ্ঠশীলন উত্তীর্ণ ১ম থেকে ৮০তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও তাঁদের ভাবনাসমূহ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কণ্ঠশীলন ওয়াহিদুল হকের কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন রূপরেখা প্রয়াস পাওয়া যাবে, আমরা তাই আশা করি।
বিকেল ৫.১৫মিনিটে বাংলা নাটকের প্রখ্যাত অভিনেতা ও নির্দেশক আলী যাকের স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন। এরপর সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সমবেত সঙ্গীতের পর ওয়াহিদুল হকের স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধায় আবৃত্তি পরিবেশন করেন কাজী মদিনা, ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একক আবৃত্তি নিয়ে আসেন দেশের বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী বেলায়েত হোসেন, পারভেজ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, ইকবাল খোরশেদ, মাসুদুজ্জামান, রবিশঙ্কর মৈত্রী, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপপু ও মজুমদার বিপ্লব। সবশেষে ব্রতচারী’র মনোমুগ্ধকর অভিপ্রদর্শনীর পর জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় আছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে উৎসব শুরু হবে । দলীয় পরিবেশনায় শেষ হবে এই উৎসব পর্ব।