দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে গণসঙ্গীতকে ছড়িয়ে দেয়া এবং গণসঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষে উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সত্যেন সেনের জন্মদিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ২৮ ও ২৯ মার্চ “সত্যেন সেন গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতা ও জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসব” আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। এরই অংশ হিসেবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ আয়োজন করে গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতা। ওইদিন সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় একক এবং দলীয় পর্যায়ে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। একক বিভাগে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ‘ক’ বিভাগের জন্য বয়সসীমা ছিল অনূর্ধ্ব-১৫ বছর এবং ‘খ’ বিভাগের জন্য বয়সসীমা ছিল ১৫ বছরের উর্ধ্বে। এছাড়া, ‘গ’ অর্থাৎ দলীয় বিভাগে যে কোন গণসঙ্গীত দল অংশ নেয়ার বিধান রাখা হয়। এতে নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা ছিল না।
উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় একক ‘ক’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে রুদ্র কুমার। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয় মাইশা সুলতানা ঊর্বি এবং মীর মোবাশশিরা ইবনাত নদী। তৃতীয় হয় সুহা আনাদিল চৌধুরী। একক ‘খ’ বিভাগে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন বিপ্লব রায়হান। আশরাফুল আলম ও জাকির হোসেন যুগ্মভাবে দ্বিতীয় এবং অজয় হৃত্বিক হাওলাদার তৃতীয় স্থান লাভ করেন। দলীয় অর্থাৎ ‘গ’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে অগ্নিবীণা শিল্পকলা বিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে ছিল উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ এবং তৃতীয় স্থান লাভ করে উদীচী গেন্ডারিয়া শাখার শিল্পীরা। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী মাহমুদ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডীন এবং গণসঙ্গীত গীতিকার ও সুরকার অধ্যাপক মতলুব আলী, বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী শাহীন সরদার এবং সোহানা আহমেদ। আগামী ১৪ মার্চ ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আর সব বিভাগের বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্যায়ের গণসঙ্গীত প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে ও প্রতিযোগিতা আয়োজন কমিটির আহবায়ক সঙ্গীতা ইমামসহ উদীচী নেতৃবৃন্দ।