অবশেষে আমজনতার বিচারে চিহ্নিত খুনি বলে বিবেচিত হলেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত জননেত্রী শেখ হাসিনা। গত শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের চা দোকানদার, কেন্দ্রিয় শহীদ মিণার প্রাঙ্গনের আমজনতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের হকার, চা বিক্রেতা ও ভবঘুরে শ্রমিক শ্রেনীর প্রায় দেড়শত মানুষেরা এই রায় ঘোষণা করেন।
তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার গৃহে আটকে রাখা আপনারা কিভাবে দেখছেন?
এককথায় প্রতিটি মানুষ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের খুনি বলে আখ্যা দেন আমজনতা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চা বিক্রেতা আমীর, কেন্দ্রিয় শহীদ মিণারের সিগারেট বিক্রেতা শাহআলম, শাহবাগ মোড়ের চা বিক্রেতা বাবুল ও ফুটপাতে মোবাইল ব্যালেন্স প্রদানকারী রাজু আহমেদসহ প্রায় ১০০ জনের মন্তব্য ছিল – বিএনপি খারাপ বুঝলাম, তারা জ্বালাও পোড়াও করছে তাও মানলাম। কিন্তু শেখ হাসিনাতো গণতন্ত্রের মানসকন্যা। সে কি করে বিরোধী নেত্রীকে গৃহবন্দী করে? সে কি করে বিনা নির্বাচনে ১৫৩ জন কে পাশ করিয়ে দেয়? এটাতো সামরিক সরকার করতে পারে, সে পারে না। তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা উপাধীটা কেন ত্যাগ করছে না? সেতো এখন গণতন্ত্রের খুনি হলেন।
এদিকে কোনো সমঝোতায় না আসতে পারার দোষে দুষ্ট বলে বিএনপির প্রতিও বাকা আঙ্গুল তুলে চা দোকানদার মোতাহার হোসেন, সবজী বিক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, সরকার যখন আলোচনার কথা বলেছে বিএনপি তখন আল্টিমেটাম দিয়েছে। এটা ছিল তাদের রাজনীতির মস্ত ভুল। সংসদে গেল কিন্তু তাদের মুল দাবি নিয়ে কথা বলেনি। আর আমাগো জন্যেতো কখনোই কিছু বলেনি। তারপরও বলবো- গণতন্ত্রের সরকার এখন এই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন।