সদানন্দ সরকার, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : ভাঙ্গাচূড়ো, রাস্তায় চলাচলে অনুপযোগি একটি ট্যাক্সিক্যাব। তবু সেটি চরছে দুর্দান্ত গতিতে। চালক হাবিব যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন সাভার এরাকায়। কালো ধূলো ছাড়ার কারণে কিম্বা বিকট শব্দজটের কারণে টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশ তাকে থামাল। আমাদের পুলিশের যা নিয়ম। হাত তুলে রাস্তার মাঝখানেই গাড়িটি দাঁড় করিয়ে দিল। ক্রাচ শব্দে ব্রেক। পিছনের াভ্যস্ত চালকরাও একই সময় ব্রেক কষল। সৃষ্টি হল দীর্ঘ যানজট। তীব্র হর্ণ বাজঁছে পিছনে। যাত্রীর অনুরোধে অবশেষে ট্যাক্সিক্যাবটি রাস্তার একপাশে যেতে দিল সার্জেন্ট। পিছনের যানজট মুক্ত হল।
চালক হাবিবকে গাড়ি থেকে নেমে কাগজপত্র দেখাতে ইশারা করলেন সার্জেন্ট। কিন্তু যাত্রীদের অবাক করে উল্টো সার্জেন্টকেই ইশারায় ডাকল চালক হাবিব। তার বেপরোয়া ভাব দেখে যাত্রীরাই শুধু নয়, সম্ভবত সার্জেন্টও ভয় পেয়ে গেছেন। দ্রুত ছুটে এলেন।
চালক : কি ভেবে এ গাড়িটা আটকালেন? কেন আটকালেন? জানেন আমি কে?
সার্জেন্টকে কোনো উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়েই একটা লেমিনেটিং করা কাগজ সার্জেন্টকে দেখালো হাবিব।
সার্জেন্ট : স্যরি ভাই, ভুল হয়ে গেছে। এটা আগে দেখালেই তো হত।
সার্জেন্টের কাঁচুমাচু ভাব দেখে যাত্রীরাতো আরো ভীত। না জানি এটা কোন ধরনের গাড়ি। চালক বড় সন্ত্রাসী নয়তো?
আবার গাড়ি চলছে। এবার ড্রাইভার খুব গর্বিত স্বরে বলল, ঐ ছালার চাকুরীটাই আজ যেত।
যাত্রী : কিভাবে ভাই?
চালক : আরে ভাই এটা কি যেই সেই কাগজ? ২০ হাজার টাকা দিয়ে তবেই না এই কাগজ পাওয়া গেছে।
যাত্রী : কি কাগজ এটা ?
গর্বিত ড্রাইভার যাত্রীর হাতে ধরিয়ে দিল কাগজটি। এতে সবার উপরে লেখা বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ। ভিতরে লেখা আছে – এ গাড়ি কিছুতেই আটকোনো যাবেনা এমন সব অনুরোধ বিষয়ক আদেশ। সাক্ষর রয়েছে সার্জেন্ট মোঃ জাকির হোসেন ও তার ফোন নম্বর। দেলোয়ার হোসেন সমন্বয়কারী, আওয়ামী মটর চালক লীগ, মোঃ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী মটর চালক লীগ।