অমর একুশে বইমেলার আজ থেকে শুরু হলো। বুধবার বিকেল সাড়ের ৪টার দিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই বই বাজারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ৩টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি।
উদ্বোধনের আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রাপ্ত কবি-সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শেখ হাসিনা। এ বছর সাতজন বিশিষ্ট কবি, লেখক এবং গবেষক এ পুরস্কার পান।
একই সময় তিনি চার দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭’ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বাধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বিপদ থেকে উদ্ধারের মাধ্যম বই। বই পড়লে অনেক দুঃখ কষ্ট ভুলে যাওয়ার পাশাপাশি সমসাময়িক জ্ঞান অর্জন করা যায়।মানুষের অপরাধ প্রবণতা কমে যায় বই পড়লে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাণের এই মেলা কখন শুরু হবে এ নিয়ে সবাই অপেক্ষা করতে থাকেন। মেলা শুরুর পর ছোট্ট শিশু থেকে সবাই মেলায় এসে বই কিনবেন এটাই প্রত্যাশা।
পরে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা তার সঙ্গে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনের পর মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
মেলা উদ্বোধনের আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের মধ্য বক্তব্য দেন চীনের গবেষক ও রবীন্দ্র অনুবাদক ডং ইউ চেন, অস্ট্রিয়ার মেনফ্রেড কোবো, পুয়ের্তোরিকোর লুস মারিয়া রোপেজ, ভারতের চিন্ময় গুহ প্রমুখ।
একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারী মমতাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
এবার ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬৬৩টি ইউনিট নিয়ে বসছে অমর একুশে বইমেলা।
গত বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশকে মোট ১২টি চত্বরে সজ্জিত করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪৯টি ইউনিটসহ মোট ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ পাশে ১০০টি লিটল ম্যাগাজিনকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমি ৩০ শতাংশ কমিশনে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় শিশু কর্নার থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মাসব্যাপী শিশু প্রহরও থাকছে মেলায়।
মেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট আটটি পথ থাকবে। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন নতুন সুপ্রশস্ত গেট নির্মাণ করা হয়েছে।
মেলার নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদ্যস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকাল ৮টায় মেলা শুরু হবে।
মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার বিস্তারিত তথ্য
গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমি সম্মুখস্থ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট জায়গায়। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে সজ্জিত করা হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪৯টি ইউনিট; মোট ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমি-সহ ১৫টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১০০টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন তাঁদের বই বিক্রি/প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০% কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে।
একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা একাডেমির ২টি প্যাভিলিয়ন, একাডেমির শিশুকিশোর প্রকাশনাভিত্তিক বিক্রয়কেন্দ্র এবং একাডেমির সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকার-এর বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে। এবারও শিশুকর্নার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। এই কর্নারকে সজ্জিত করা হবে শিশুকিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায়। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ঘোষণা করা হবে ‘শিশুপ্রহর’।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এছাড়া মেলায় আগত মানুষের বসার স্থানসহ নান্দনিক ফুলের বাগানও নির্মাণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে গ্রন্থমেলায় মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশে। বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্তৃপক্ষ গ্রন্থমেলায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, তথ্যকেন্দ্রের সর্বশেষ খবরাখবর এবং মেলার মূল মঞ্চের সেমিনার প্রচারের ব্যবস্থা করবে। ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে মেলার উভয় অংশে।
মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মেলার তথ্যাদি প্রতিদিন সরাসরি সম্প্রচার করবে। এফ এম রেডিওগুলোও মেলার তথ্য প্রচার করবে। গ্রন্থমেলার খবর নিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বুলেটিন প্রকাশিত হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার করবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিদিন মেলার তথ্য।
গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের আটটি পথ থাকবে। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন নতুন সুপ্রশস্ত গেট।
গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নিরাপত্তাকর্মীবৃন্দ। নিñিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে আড়াইশত ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় (সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহিদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছিটানো, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভ ও এর পার্শ্ববর্তী স্থানকে নান্দনিকভাবে গ্রন্থমেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাতে স্বাধীনতার স্তম্ভের আলোক-বিচ্ছুরণে মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে।
৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিশিষ্ট বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০১৬ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০১৬ গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে। এছাড়া ২০১৬ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ-বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। মেলার শেষ দিন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রদান করা হবে।
এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে ১০১টি নতুন বই।
মেলায় নতুন সংযোজন
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের নতুন বিন্যাসে এবারের অধিকাংশ স্টল পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আনা হয়েছে। টিএসসি ও দোয়েল চত্বরের মূল প্রবেশ পথে এলইডি মনিটর স্থাপিত থাকবে। এখান থেকে মেলা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য/নির্দেশনা পাওয়া যাবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে করা হয়েছে ‘নতুন বইয়ের প্রদর্শশালা’। এতে প্রতিদিন প্রকাশিত নতুন বই দিনভিত্তিক সাজানো থাকবে। শারীরিক প্রতিবন্ধি ও বয়স্ক মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে হুইল চেয়ারের সংখ্যা গতবারের চেয়ে আরও বৃদ্ধি পাবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে পর্যটন কর্পোরেশনের ১টি ক্যান্টিন এবং বাংলা একাডেমি অংশে পর্যটন কর্পোরেশনের ১টি-সহ ২টি ক্যান্টিন চালু থাকবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে স্টলগুলোতে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পর্যাপ্ত মাটি ফেলে জমি ভরাট করা হয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ইট ও বালু দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা/উন্মুক্ত প্রান্তর নির্মাণ করা হয়েছে। শিশুকর্নারে এবার নতুন সংযোজন ‘মাতৃদুগ্ধ সেবাকেন্দ্র’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গ্রন্থমেলার সময়সূচি
গ্রন্থমেলা ১লা থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।