এখন আর শুধু রাতে নয়, প্রকাশ্য দিনের আলোতেই চলছে নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর মাদকসহ অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জমজমাট বাণিজ্য। প্রশাসনের চোখের সামনেই ঘন্টা হিসেবে রুম ভাড়া, কিম্বা বন্ধু পরিচয়ে চলছে এসব কার্যক্রম। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দাবী আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে হোটেলগুলোর ক্রাইমরেট। নিয়মিত নজরদারি করছে গোয়েন্দা সংস্থাও।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর প্রায় একশত আবাসিক হোটেলের প্রায় সবকয়টি ছোট-বড় বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত। হত্যা, ধর্ষণ ও মাদকের ব্যবহার নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে বহুবার। এরমধ্যে প্রশাসন যখন রাতে নির্দিষ্ট কিছু হোটেল পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত ঠিক তখন নামী-দামী অভিজাত হোটেলে এবং রাতের পরিবর্তে দিনে ঘন্টা হিসেবে রুমভাড়া নিয়ে চলছে বিভিন্ন মাদক সেবনসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে টিনএজ বা উঠতি যুবকদের একটা বড় অংশ এখন এই অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে পরেছে বলে অভিযোগ সয়ং হোটেল মালিক বা কর্মচারীদের। এরই প্রমাণ দেখা গেল গত ১৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতের মধ্যে এবং ২২ মার্চ নগরীর সব আবাসিক হোটেলে একযোগে সিটিএসবি বা মেট্রোপুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের অভিযানে।
১৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বান্দরোডের গ্রান্ড পার্ক সংলগ্ন চারু হোটেলের গেটে একদল যুবকের গতিবিধি সন্দেহ হলে পুলিশ তাদের ক্রশচেক করতে গেলে যুবকরা পালিয়ে যায়। তখন হোটেল চারুর ভিতর থেকে একজনকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। যদিও হোটেলের ম্যানেজার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, চারুর ভিতর নয়, গেটের সামনে ঘটেছে ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ ভিতরে নিয়ে আসেন ওদের। আর এমন ঘটনার দূর্নাম থেকে বাঁচতেই চারুর প্রকৃত মালিকপক্ষ হোটেলটি ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন বলে জানান ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেত্রী মেরী জনসন এর স্বামী প্রিন্স জনসন। তিনি বলেন, করোনাকালীন সংকট সময়ে হোটেল ব্যবসায় চরম ক্ষতির মুখে পরেছে বরিশালের ব্যবসায়ীরা। অনেকের মতো আমরাও ব্যবসা বন্ধ করে ভিন্ন পথ খুঁজছি। এই মূহুর্তে চারু হোটেলটি অপরপক্ষ শিপন নামে একজনকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। জায়গা ও ভবনের মালিক আমরা হলেও হোটেলের যাবতীয় ব্যবসা আয় ব্যয়ের মালিক এখন শিপন সাহেব। তবে অচিরেই আমরা এই ভবনটিকে ব্যাংক বা বীমা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে দেব। শুধু শিপন সাহেবের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষের অপেক্ষায় আছি। অন্যদিকে একইদিন রাতে প্যারারা রোডের আবাসিক হোটেল আলভি থেকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পত্রিকা ঘেটে ও বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বরিশাল বিভাগের ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ে ও চাকুরির অজুহাতে কিম্বা ফুসলিয়ে বা অপহরণ করে নিয়ে আসা কিশোর- কিশোরী বা তরুণ-তরুণী নগরীর হোটেলগুলোতে আশ্রয় নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এ যাবৎ আটককৃতদের বেশিরভাগের তথ্য এটাই প্রমাণ করেছে। নগরীর বেশিরভাগ মধ্য ও নিম্নমানের হোটেলে ৩০০/৫০০ টাকা দিলেই সহজে পাওয়া যাচ্ছে কক্ষ। এজন্য কোনো নিয়মনীতিরও তোয়াক্কা করছেনা মালিকপক্ষ। নাম-ঠিকানা এন্ট্রি ছাড়াই রুম ভাড়া দেয়া হয়, পরে সুযোগ বুঝে এবং ব্লাক মেইলের মাধ্যমে আদায় করা হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা। শুধু অনৈতিক কর্মকান্ড নয়, এসব হোটেলগুলোতে বসে মাদকের নিয়মিত আসর। এদের বেশিরভাগই নিরাপদে ইয়াবা সেবনের জন্য হোটেলের রুম ঘন্টা চুক্তিতে ভাড়া নেয় বলেও জানা গেছে। এছাড়া অনৈতিক দেহব্যবসাতো রয়েছেই। এসকল কর্মকান্ডে জড়িত সন্দেহে আগে থেকেই পত্রিকার পাতাজুড়ে রয়েছে বান্দরোড ও সদর রোডে মানিকের পরিচালিত হোটেল সামস, নথুল্লাবাদের শরিফ হোটেল, হোটেল ব্যবিলন, রুপাতলির মেট্রোপলিটন হোটেল, হোটেল অবকাশ, হাসপাতাল রোডের হোটেল প্যারাডাইস, বান্দরোড শেবাচিম হাসপাতালের সামনে হোটেল মিডসিটি, হোটেল কিং, হোটেল খান, পোর্টরোড এলাকার আবাসিক হোটেল জোনাকি ও মহসিন মার্কেট লাগোয়া হোটেল ঝিনুক, পোর্টেরোড ভূমি অফিসের সামনে স্বাগতম, সী-প্যালেস পোর্টরোডে হোটেল চিল, হোটেল কীর্তনখোলা, নিউ পপুলার, হোটেল অতিথি, কাটপট্টিতে নক্ষত্র প্যালেস, লাইন রোডে হোটেল নুপুরসহ বেশ কয়েকটি হোটেলেই মাদক ও দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও হোটেল গ্রান্ড পার্ক, এথেনা, এরিনা, রোদেলাসহ নামীদামী হোটেলগুলোতেও থেমে নেই এসকল কর্মকান্ড। যা হয়তো তাদের সিসি ক্যামেরার বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট হবে। শুধু তাই নয়, অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে এসকল হোটেলগুলোতে হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সরজমিনে বরিশালের আবাসিক হোটেলের কয়েকটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গেলে জানা যায়, পোর্ট রোড সংলগ্ন আশেপাশের ছোটখাটো বেশকিছু হোটেল আগে থেকেই পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। এরমধ্যে আজিজের রয়েছে ৫টি হোটেল, আল আমীনের একটি। বিউটি রোডে ব্যবসায়ী মনিরের রয়েছে ৫টি হোটেল। পোর্টরোড ব্রীজ সংলগ্ন ফয়সাল ও ইসমাইলের ৩টি হোটেল আগে থেকেই পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছে অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে সুপরিচিত। করোনাকালীন সংকটে এখানে আবাসিক হোটেল ব্যবসার মন্দা যাওয়ার কারণে অনেক ভালো ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন। তার জায়গায় নতুন ব্যবসায়ী এসে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে বলেও জানা গেল। এমন একটি ফলপট্টির বিসমিল্লাহ বোর্ডিং। ঘন্টা হিসেবে এখানে এখন কক্ষ ভাড়া হয় বলে অভিযোগ প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের। ব্যবসা মন্দার সময়ে দিনের বেলাতেও এখানে লোকের উপচে পরা ভিড় এই সন্দেহে জন্ম দিয়েছে বলে দাবী প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের। বান্দ রোডের চারু আবাসিক নিয়েও একই অভিযোগ। এখানে দোতলা এই ভবনে আবাসিক ব্যবস্থা মাত্র ১০ জনের। কিন্তু মাসিক ভাড়াসহ খরচ গুনতে হয় প্রায় দেড়লাখ টাকা। এই টাকা রুম ভাড়া দিয়ে উপার্জন করা অসম্ভব বলে দাবী করেন গ্রান্ড পার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবী, চারু হোটেলটিতে মাসে ১০ জন বোর্ডার বা গ্রাহকেরও আসা-যাওয়া নেই। পাশেই আন্তর্জাতিক মানের ফোরস্টার গ্রান্ড পার্ক হোটেল। সাধারণত এই হোটেলে আগত ভিআইপিদের গাড়ি চালক ও পিয়নদের থাকার জন্য চারু উত্তম ব্যবস্থা। কিন্তু গত দুবছর ধরে গ্রান্ড পার্কেরই ভিআইপি বা বিদেশি অতিথি আসাযাওয়া বন্ধ। ফলে তাদের ব্যবসাই মন্দা চলছে বলে জানালেন গ্রান্ড পার্কের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত রায়হান। তার পাশের এই চারু হোটেলটির কারণে তাদের সুনাম ক্ষুন্ন হবার দাবী করেন তিনি। এদিকে নগরীর ফলপট্টি, সদররোড, বিউটি রোডের স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব হোটেল চলমান আছে। এদের অনেক হোটেল মালিক পতিতা ও ইয়াবাসহ প্রশাসনের হাতে আটক হয়েছে একাধিক বার। কেউ কেউ কারাভোগও করেছে। তারপরও টিকে আছে এই ব্যবসায়। কীভাবে সেটা যেন প্রশাসনের কাছেও বিশাল প্রশ্ন এখন? বলা যায়, হাতেগোনা কয়েকটি বাদ দিয়ে নগরীর প্রায় সব আবাসিক হোটেলে রয়েছে প্রকাশ্যে বা গোপনে নানা বয়সের যৌনকর্মী। বড় বড় হোটেলগুলোতে এটা চলে ফোনে বা মেসেজে। এসব হোটেল মালিকরা ফ্লিম স্টাইলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে চালাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে দাবী অনেকের। যদিও বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলের সিসি ক্যামেরা শুধু প্রবেশপথটুকুতেই। কারো কারো নষ্ট পড়ে আছে। পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড গ্রহণের বিষয়েও অসচেতন বেশিরভাগ হোটেল মালিক। অথচ থানা থেকে এজন্য বারবার নোটিশ দেয়ার দাবী পুলিশ প্রশাসনের। হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান বলেছেন, ‘আমি সভাপতি হলেও এসব সাংগঠনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নই। তাছাড়া মানুষ এখনও সচেতন হয়নি। যার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রে পেশাগত পরিচয় রাখতে হয়। আবার ক্যামেরায় ফুটেজ সংরক্ষিত থাকে।’
মেট্রোপলিটন বা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, এসব আবাসিক হোটেলে অনেকে ভুয়া স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে তিনশ বা পাঁচশ টাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘন্টা অবস্থান করে চলে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারেনা। তাই প্রমান না থাকায় কিছু করা সম্ভব হয়না। তবে এসব অবৈধ কার্যক্রম আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। শুধু হোটেল রেস্তোরাঁ নয় নগরীর অপরাধ প্রবণতাও অনেক কমে গেছে। গত তিনমাস আমাদের কাছে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা রয়েছে মাত্র ১৯টি। আবাসিক বিষয়ে গোয়েন্দা দপ্তর ভালো বলতে পারবেন।
নগরীর প্রায় ৫০টি আবাসিক হোটেলের চিত্র তুলে ধরে সিটিএসবি প্রধান (ডিসিডিবি) মঞ্জুর রহমান বিপিএম জানান, বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য পেলে তবেই আমরা নগরীর বাসাবাড়ি বা আবাসিক হোটেলে কঠোর অভিযান পরিচালনা করি। এর বাইরে প্রতিদিনই আমাদের নজরদারি থাকে। তবে সেটা স্বল্প পরিসরে। সন্দেহ হলেই অভিযান চালানো হয়। গত জানুয়ারী থেকে এই মার্চ পর্যন্ত আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০টির মতো অভিযান পরিচালনা হয়েছে। এতে ৩০ জনকে আদালতে সোপর্দ করেছি। তবে আগের তুলনায় এটা অনেক কমে গেছে। সর্বশেষ গত ২২ মার্চ নগরীর প্রায় সব আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেছে ডিবি পুলিশ।
একই সুত্রে কথা বলেন নগরীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু। তিনি গত জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী
মাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, দুইমাসে ২৩০টি অভিযানে ৫০জনকে মাদক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। একইসাথে দুই লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকাসহ গাজা, ইয়াবা চোলাইমদ উদ্ধার করেচে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। নগরীর বেশিরভাগ হোটেলে বয় বা ঝাড়ুদার মাদকসেবীদের চাহিদা অনুসারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য এনে দেয় বলে জানান মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
যদিও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শাহাবুদ্দিন খান কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন এইসব হোটেল মালিক ও দূর্নীতিবাজ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি। বরিশালের আবাসিক হোটেলের অপরাধ কার্যক্রম আগের তুলনায় এখন নেই বললেই চলে উল্লেখ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিপিএম) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাঃ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকের প্রভাবটাই সবচেয়ে ভয়ংকর। তাই এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। আসলে অনেকেই মুখে বলছেন, আমরা মাদক ছেড়ে দিয়েছি -কিন্তু সমাজে তার আচার-আচরণ বলছে তারা অপরিবর্তিত। তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, মুখোশ পরে, ঢাল ব্যবহার করে শুধু মুখে ভালো হয়েছি বললেই হবে না, ভেতর থেকে ভালো হতে হবে। ভালোদের অবশ্যই আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করবো। তিনি আরো বলেন, আমি আসার পর থেকে যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে একটি নিরাপদ বরিশাল দেখতে চেয়েছি এবং সেলক্ষ্যে কাজ করেছি। কোথাও কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে দেখলে তা তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের জানান। এজন্য ৯৯৯ রয়েছে। রয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। কোনো পুলিশ সদস্যদের অনিয়ম দেখলে সেটাও সরাসরি আমাকে জানান। ওপেন ডে হাউজে আমি সকলের অভিযোগ শুনি ও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।