নগরীর খালে আটকে আছে বরিশালের বাণিজ্যিক দুয়ার 

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

নগরীর খালে আটকে আছে বরিশালের বাণিজ্যিক দুয়ার 

নগরীর খালে আটকে আছে বরিশালের বাণিজ্যিক দুয়ার। অবৈধ স্থাপনা ও বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনাসহ বিভিন্ন কারণে খাল ভরাট হয়ে নৌ চলাচল বন্ধ। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বানিজ্যিক ক্ষতি হচ্ছে নগরের আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের। তবে জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া গেছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ খাল পুনরুদ্ধারের আশ্বাস। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একসময় বরিশাল জেলায় ২২/২৩টি ও শহরকে ঘীরে ১৮টি খালের স্রোতে ধুয়ে যেত নগরীর সব ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ব্যবস্থা। এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিলো এই খালগুলো। আধুনিক সড়কের যাত্রায় অনেক খাল বিলুপ্ত হয়ে অবশিষ্ট রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি খাল। এরমধ্যে অন্যতম ও বাণিজ্যিক হিসেবে পরিচিত জেল খালটি। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দাবী ১০ বছর আগেও এ খালটি দিয়ে পণ্য বোঝাই ট্রলার ও নৌকা নিয়ে আমরা বরিশালের বানারিপাড়া, উজিরপুর হয়ে পয়সার হাট মালামাল পৌঁছে দিয়েছি। এখন সেই খালটিও মৃত প্রায় দশা। নগরীর সাগরদি খাল, ভাটার খাল ও জেল খাল তিনটি মূলত বাণিজ্যিক খাল হিসেবেই পরিচিত ছিলো তখন। এখনো ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় শ’খানেক ফল বোঝাই ট্রলার ও নৌকার আসা-যাওয়া রয়েছে এই জেলখানা খালের মুখে। অতি জোয়ারের সময় জেলখালে ঢুকে আটকে পড়া একটি কার্গো এখন অপেক্ষা করছে পুনরায় জোয়ারের। 

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, বরিশাল শহরের ভিতরে প্রবাহমান একসময় ১৮টি বড় খাল ছিল। ১৯০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভাটার খালে ভিড়েছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরা। বজরায় অবস্থান করা বিশ্বকবিকে মুগ্ধ করেছিল বরিশালের রূপ। খাল-বিল-পুকুর-নদী পরিবেষ্টিত বরিশালের রূপে মুগ্ধ কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই নগরকে ‘বাংলার ভেনিস’ আখ্যায়িত করেছিলেন।

বরিশালের খালগুলোর উল্লেখযোগ্য একটি খাল ছিলো বটতলা খাল। শহরের বটতলা থেকে নবগ্রাম হয়ে ঝালকাঠি জেলার রায়পাশা-কড়াপুরে গিয়ে খালটি সুগন্ধা নদীতে মিশেছে। এলাকাবাসী জানান, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েও খালটিতে নৌকা চলত। কিন্তু বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এটি মরা খাল। নবগ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি স্থানে খালটির ওপর নির্মিত সরু কালভার্টের দুই পাশের বিরাট অংশ ভরাট হয়ে গেছে। পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খালে থাকা ময়লা-আবর্জনা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একইচিত্র সাগরদি, ভাটার খালসহ অন্যান্য খালের। শুধুমাত্র জেল খালটি টিকে ছিলো বাণিজ্যিক ব্যবহারের কারণে। সেটিও এখন মৃতপ্রায় বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। 

বরিশালে বাপা’র সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীর সাথে শাখা নদী ও খালের উৎসমুখ সচল করার উদ্যোগ নিতে হবে। নদী-খাল দখল ও দূষন রোধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন। সরকারের ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ পরিকল্পনায় নদীর দু’পাশের সীমানাকে সংকোচিত করে ভূমি বের করে নদীতে আরো গভীর করে খনন অযৌক্তিক হওয়ায় তা বাতিল করে নদীকে তার মতো প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইন-১৯৯৭ অনুস্বাক্ষর করার মাধ্যমে উজানের নদীর পানির অববাহিকা ভিত্তিক সংকট নিরসন এবং জয়েন্ট রিভার কমিশনকে স্বক্রিয় করার মাধ্যমে উজানের অববাহিকা ভিত্তিক পানির ন্যায্য হিসাব আদায়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।

বরিশালের নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব এনায়েত করিম শিবলু বলেন, কাগজে-কলমে এখনো বরিশাল শহরে ১৮টি খালের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় সাতটির। এগুলো হচ্ছে- জেল খাল, লাকুটিয়া খাল, আমানতগঞ্জ খাল, সাগরদী খাল, নবগ্রাম খাল, পুডিয়া খাল ও টিয়াখালী খাল। এই খালগুলো প্রায় সবই এখন ভরাট হয়ে গেছে বা হবার পথে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সরেজমিনে শহরের মড়কখোলা পুল থেকে মুখার্জির পুল হয়ে আড়িয়াল খাঁ নদী পর্যন্ত বয়ে চলা প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বিস্তৃত লাকুটিয়া খালটির কয়েক স্থানে ভরাট করে রাস্তা ও সুরু কালভার্ট দেখা গেল। ময়লা আবর্জনা জমে এখন খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে । খালের দুই পাড়েই দখলদারদের দৌরাত্ম্য ছাড়াও রয়েছে নগরীর যাবতীয় বর্জ্যস্তুপ। একই চিত্র দেখা গেল আমানতগঞ্জ খালটিরও। অথচ জেল খালের সাথে সরাসরি সংযোগ ছিলো এই খাল দুটিরও। ব্যবসায়ীদের নৌকা ও ট্রলারের আসা-যাওয়া ছিলো এই খালগুলো ধরে।

মিডিয়ার কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি

শহরের পোর্ট রোড এলাকার কলাপট্টিতে পানির অভাবে আটকে পরা কার্গো শ্রমিক সেকান্দর আলী হাওলাদার বলেন, ৬১ বছর ধরে এই কলাপট্টি ব্যবসায়ীদের কাজ করি আমি। চোখের সামনে খালগুলো মরে যেতে দেখেছি। এই জেল খালটি শেষভরসা আমাদের।  এটি মরে গেলে এখান থেকে ব্যবসা গুটাতে হবে সব আড়ত ব্যবসায়ীকে। আর আমরা হতদরিদ্র শ্রমিকরা না খেয়ে মরবো।

এখানে কলাপট্টি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকাব্বর মুন্সি বলেন, আপনারা দয়া করে প্রশাসনকে বলেন এই খালটিকে বাঁচিয়ে দিতে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা ক্ষতি হচ্ছে ট্রলার আসতে না পারায়। আমরা শ্রমিকরাও কাজকর্ম ছেড়ে ঘরে বসে আছি। না খেয়ে মরবো তাহলে।

আর কলাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ রোমান শেখ বলেন, শীতের মৌসুমে একদম শুকিয়ে  যায় এখানের তিনমুখা সংযোগ। কীর্তনখোলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় আমাদের পণ্য সবটাই ট্রলার ও নৌকা নির্ভর এখনো।  তাছাড়া এতে খরচও কম পড়ে। এখন খাল মরে থাকায় আমাদের ট্রাকে পণ্য আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। ফলে ৪০ টাকার একটি তরমুজ এখন ক্রেতা পর্যায়ে ১০০ টাকা হচ্ছে। 

কলাপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান জানান, ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করছি এখানে। আমরা প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী আজ মহাবিপদের মধ্যে আছি। এই খাল শুকিয়ে রয়েছে। ভরা মৌসুমেও পানি কম থাকে। খালটি খননের জরুরী প্রয়োজন জানিয়ে আবেদন করার পরও শুধু আশ্বাসই পেয়ে আসছি। একদম ভরাট হয়ে হারিয়ে গেলে তখন অন্য খালগুলোর পরিণতি হবে এই খালের।

এদিকে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে থাকা বরিশাল জেলার ২২টি খাল পুনরুদ্ধারে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবে তা আজ পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। যদিও খালগুলোর অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে উদ্যোগে সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ব্যস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার সাতটি খাল উদ্ধার এবং খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সয়ং জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার। এমনকি পানি প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক এমপিও জানিয়েছেন সাতটি খাল পুনরুদ্ধারের আশ্বাস। প্রায় ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার খাল খনন, সৌন্দর্য বর্ধন, ওয়াকওয়ে এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।  নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৭টি খাল পুনরুদ্ধার হলে বাণিজ্যিক সুবিধার পাশাপাশি সীমাহীন  জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নিস্তার মিলবে নগরবাসীর।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অসংখ্যবার ফোন করে সিটি করপোরেশন মেয়রের ফোনে শুধু বিজিটোন পাওয়া গেছে। তবে কিছুদিন আগে মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে চৌমাথায় সাগরদি খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছেন। তখন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, জেল খাল এবং সাগরদী খাল উদ্ধারের কাজ চলছে। দখল করা অংশ উদ্ধারের পর সীমানা পিলার বসিয়ে দিচ্ছি আমরা। পর্যায়ক্রমে অন্য খালগুলোও উদ্ধার করা হবে। এসব খালের দুপাশ বাঁধাই করে সড়ক নির্মাণ করে দিলে আর দখল হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

এ সময় মন্ত্রণালয়ে জমা থাকা প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালকে ভালোবাসেন। তার প্রমাণ এই বরিশালের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ। এটিও তার নলেজে আছে। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই তিনি প্রকল্পটির অনুমোদন দেবেন। কাজটি সম্পন্ন করে বরিশালকে জলাবদ্ধমুক্ত নগরী হিসাবে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।আদতে তার আশ্বাস এখনো কোনো সুফল বয়ে আনেনি। আর দখলদার মুক্ত হলেই হবেনা খনন করে পুনরায় পানিবাহী করতে হবে খালগুলো। হতে হবে ট্রলার ও নৌকা চলাচলের উপযোগী। আর এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক দীপক রঞ্জন দাশ জানান, খুব শীঘ্রই মাননীয় পানি প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক এমপি বিষয়টির সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের সীমানা নির্ধারণ শেষ হয়েছে। এখন উচ্ছেদ অভিযান চলমান আছে। 

আর বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বলেছেন, বরিশালকে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পথে সব বাঁধা পরিকল্পিতভাবে দূর করা হবে। আর এ জন্য বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের চেষ্টা চলছে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগ না হলে যেকোনো ভালো কাজই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান তিনি।

 

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।