মান্নান সৈয়দ বাংলা সাহিত্যের একটি অনিবার্য নাম : অনু হোসেন ও মাঈন উদ্দিন জাহেদ

অতিথি লেখক

Sharing is caring!

01বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষণাসহ সারা দেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত নিদর্শনগুলো ধরে রাখার কাজটি মনে হয় সর্বউচ্চ মর্যাদার সঙ্গে করে আসছে বাংলা একাডেমি।
আমাদের বলতে সামান্য পিছুটান নেই, সমকালে মান্নান সৈয়দ বাংলা সাহিত্যের একটি অনিবার্য নাম। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সকল কাজকে একসঙ্গে পেলে কার না উপকার! বাংলা একাডেমি সে-কাজটি আন্তরিকতার সঙ্গে করতে শুরু করেছে। ৮/৯ খণ্ডে তাঁর রচনাকর্মগুচ্ছ প্রকাশের কাজ চলছে। প্রথমে প্রথম তিনটি খণ্ডের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম খণ্ডে কবিতা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডে যথাক্রমে রচনার ক্রম অনুযায়ী তাঁর প্রথম দিককার প্রবন্ধের বইগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারপর বিষয়ভিত্তিক ও ক্রমভিত্তিক পথে অন্যান্য।
কাজের ধারাক্রম থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় খণ্ডটিরই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো আগে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় খণ্ডে বেরিয়ে গেছে। হয়তো আগামী দুইএক সপ্তাহের মধ্যে আসবে প্রথম খণ্ড (কবিতা)।
মান্নান সৈয়দের মতো সময়ের শ্রেষ্ঠ লেখকের সৃষ্টিসম্ভার সম্পাদনার কাজ সত্যি আনন্দের! আমার আনন্দের ভাগ সকল বন্ধুর জন্য ছড়িয়ে দিলাম। সবিনয় শুভেচ্ছা।

(অনু হোসেনর টাইমলাইন থেকে)

02আত্মকথা ও স্মৃতিচর্চায় আব্দুল মান্নান সৈয়দ// মাঈন উদ্দিন জাহেদ

বাংলাদেশের সাহিত্যের অনন্য এক ধীমান লেখক আব্দুল মান্নান সৈয়দ।তার সমস্ত লেখালেখির মাঝে নুতুনত্বের ছাপ।আলাদা ভাবে বুঝা যায় তার স্বাতন্ত্র। আত্মজীবনী চর্চায়ও এ ভিন্নতা লক্ষ করার মতো।এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা ছ’টি।
১।‘আমার বিশ্বাস’(১৯৮৮)
২।স্মৃতির নোটবুক(২০০১)
৩।ডায়েরিঃ১৯৭৮-২০০৮
৪।ভেসেছিলাম ভাঙা ভেলায়(২০০৯)
৫।মিটিলনা সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়(২০১২)
৬।সম্পাদকের কলমে(২০০৫)
sayed5
এক। ‘আমার বিশ্বাস’ (১৯৮৮)সব্যসাচী লেখক আবদুল মান্নান সৈয়দের এমন একটি গ্রন্থ যা বাংলা গদ্য সাহিত্যে এনেদিয়েছিলো ভিন্নমাত্রা। এর আগে এমন করে নিজের গদ্যের, কবিতার, বিশ্বাসের কথা আর ক’জন বলেছেন, কেউ বলেননি এমন করে। গদ্য শৈলীতে যেমন অনন্য তেমনি বিষয়গভাবে নবতর।ড.হুমায়ুন আজাদের ‘আমার অবিশ্বাস’ সৈয়দেরই অনুবর্তী বললে ভুল হবে’; হবেনা। এছাড়াআত্মজীবনী রচনায় আমরা লক্ষ করেছি বাঙালি লেখকরা এতো সৎ যেন বিবেকের প্রতিনিধিহিসেবে প্রতি মুহুর্তে সক্রেটিস! কিন্তু জীবনের ভুলগুলো, পাপগুলো, ক্ষরণগুলো, দূর্বলতাগুলো,কামগুলো, রিরিংসাগুলো আর ক’জনই বলতে পেরেছেন। কিন্তু আবদুল মান্নান সৈয়দ বলেছেন নির্দ্বিধায় অকপটে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে নিজেকে তুল ধরছেন আলো অন্ধকারে সবটুকুতে।আমার বিশ্বাস-প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪/ফাল্গুন ১৩৯০,প্রকাশকঃরূপম প্রকাশনী,৯৫,আরামবাগ,ঢাকা।প্রচ্ছদঃ মামুন কায়ছার চৌধুরী।মুল্যঃ১৫টাকা।আব্দুল মান্নান সৈয়দের আত্মবিশ্লেষক চারটি গদ্যের সংকলন ‘আমার বিশ্বাস’। শিরোনামগুলোঃ আমার গদ্য,আমার কথকতা,আমার কবিতা,আমার বিশ্বাস।ষাটের দশকের ব্যাতিক্রমী কবি,কথক,প্রাবন্ধিক তিনি।তার ব্যতিক্রমী যাত্রা যেমন বিষয় উপস্থাপনে তেমন শৈলীর স্বাতত্র্যে। তাঁর গদ্য যেমন নিজস্ব তেমনি কথকতা, কবিতা এবং সাহিত্য বিশ্বাসও ভিন্ন। তাই তার সাহিত্য- যাত্রা থেকে পাঠক উন্মুখ হয়ে আছে বিবিধ প্রশ্ন নিয়ে- জিজ্ঞাসার ফোয়ারা নিয়ে।এ গ্রন্থে সৈয়দ সে সব গ্রন্থিগুলো উন্মোচন করেছেন।তাই তিনি লিখেছেন, আমার গদ্যে মেধা ঝরিয়ে ক্রমব্যপ্ত হয়েছে হূদয়- এবং কোমলতার কেন্দ্রীয় কারণ হয়তো সেই’। তার এ অংশে গদ্য চর্চার একটি পটভূমিও বর্ণনা আছে ।সৈয়দের গল্প ও উপন্যাস চর্চার প্রেক্ষিত ও বিস্ত্র আলোচনা আছে ‘ আমার কথকতা’ প্রবন্ধে।এর প্রচ্ছদ,অপছন্দ,দষ্টিভঙ্গি ও অনালোচিত গল্পের কলকব্জার উপর আলো ফেলেছেন সৈয়দ।জীবনের পথে চলতে চলতে যা আমরাই নিজস্ব উপার্জন’ তাই তার গল্প ও উপন্যাসে উঠে এসেছে- বলেছেন সৈয়দ। ‘আমার বিশ্বাস’ প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার শিল্পের প্রধান উৎস কল্পনা’ অন্যতম প্রধান উৎস মৌনতা’ এবং উৎস শিল্প’। এ সব নিয়েই আব্দুল মান্নান সৈয়দের ‘আমার বিশ্বাস’।
দুই।আবদুল মান্নান সৈয়দের প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ স্মৃতির নোটবুক (২০০১-শিল্পতরু প্রকাশনী)।‘ডায়েরি ১৯৭৮-২০০৮’ (পাঠকসমাবেশ ২০০৯) ও ভেসেছিলাম ভাসা ভেলায় (সুচীপত্র ২০০৯) এর ত্রি-আত্মজৈবনিক রচনার সাথে যদি সৈয়দের নভেলাগুলোকে মিলিয়ে পড়া হয়, তাহলে উপন্যাসের সৈয়দের সাথে কবি সৈয়দ ও ব্যক্তি সৈয়দের এক সমান্তরাল রেখা নির্মাণ করা যাবে। । বিষয় উপস্থাপনায়, বিন্ন্যাসে, অলংকরনে, সততায়- এতোই মগ্নো যে- তা পাঠকের হৃদয় ছুয়ে যায়। সৈয়দ বাঙালির রুচিতে এনেছেন তিনি আত্মজৈবনিক ভিন্নতা তার ‘আমার বিশ্বাস’ (১৯৪৪)‘স্মৃতির নোটবুক’ (২০০০) ‘ডায়রী’ ১৯৭৮-২০০৮ প্রকাশ : ২০০৯) ‘ভেসেছিলামভাঙাবেলায়’ (২০০৯) এর মাধ্যমে ব্যক্তিজীবনের ক্লেদময় দিকটিও তুলে এসেছেন। যা খুউব কম বাঙালি লেখক স্বীকার করেন।‘ডায়েরী ১৯৭৮-২০০৮’, ।এবং বিশেষ দ্রষ্টব্যে লিখেছেন: আমার উত্তরাধীকারীদের প্রতি নির্দেশ। এই ডায়েরি যেভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তার বাইরে অন্যকোনোভাবে যেন আমার ডায়েরি প্রকাশিত না হয় আবদুল মান্নান সৈয়দ(ডায়েরি। ১৯৭৮-২০০৮ ভূমিকা শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য, পৃষ্ঠা : ১৬।
বিশেষ করে ডায়েরিঃ১৯৭৮-২০০৮ টি সত্যিই উপভোগ্য। ব্যক্তিগত সততা এতো বেশি পষ্ঠ যে- ভেতরে অন্তরে চেনা যায় এ ডায়েরিঃ১৯৭৮-২০০৮ আত্মজীবনীতে।
ডায়েরিঃ১৯৭৮-২০০৮ আত্মজীবনীতে কবিতা, চিত্রকলা, সৈয়দের নজরুল-জীবনানন্দ-ওয়ালীউল্লাহ চর্চা, ব্যাক্তিগত গদ্য চর্চা, অনিয়মিত ডায়েরি চর্চার আড়ালে মূল্যায়ন ও অনূভুতি প্রকাশ পেয়েছে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে। আবদুল মান্নান সৈয়দে প্রথম দিকের শিল্পযাপন এখানে প্রকটিত হয় মেদসহযোগে।এ গদ্য চর্চায় শ্লীলতায় লবনের মাত্রা বেশী।দুর্লভ কিছু ছবি-যেমন সৈয়দের আঁকা ছবি,জীবনানন্দ দাশের বিয়ের ছবি,বিভিন্ন সাহিত্য আড্ডার ছবি সহ পুরো ডায়েরি যেন বাংলাদেশের তিন দশকের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিবেদন।সৈয়দের সাহিত্য বিশ্লেষনের জন্য এ ডায়েরি আড়ালের অনেক সূত্র কাজ দেবে।
আশির দশকে আমরা সাহিত্য পত্রিকা শিল্পতরু’র সৌজন্যে পেয়েছিলাম কবি ও শিল্পী আবুহেনা মোস্তফা কামালের জর্নাল চর্চা । ফরাসি সাহিত্যে জর্নাল ভিন্নমাত্রা এনেদিয়েছিল ব্যাপক।বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ব্যাপক না হলেও একটি চমৎকার উপহার এ ডায়েরিটি।বাংলা সাহিত্যের বাকঁ বদলের ইতিহাস আমরা পেয়ে যায় সৈয়দের ব্যক্তিগত চর্চায়।আবদুল মান্নান সৈয়দের বই মানেই সম্পূর্ণ এবং সুসম্পাদিত সুপাঠ্য বই।পাঠকে যা আপ্লুত করে ,বিস্মিত করে সাথে সাথে বিনোদিতও করে বিভিন্ন অনুরাগে-রঙ-রেখায়-বর্ণনায়।
তিন।স্মৃতির নোটবুক(২০০০) আবদুল মান্নান সৈয়দের কিছু নোট,স্মৃতির টুকরো নিয়ে সংযমী কিছু মূল্যায়ন।আছে তার বেড়ে ওঠা,লিখিয়ে হয়ে ওঠা,পড়ালেখা,ষাটের দশকের সাহিত্যপত্রিকা পরিচয়, পূবর্মেঘ, স্বাক্ষর, সাম্প্রতিক, সমকাল’র উপর আলোচনাসহ প্রায় ৮৪টি পত্রিকার তালিকা বইটিকে মহার্ঘ্য করে তুলেছেন সৈয়দ।প্রায় ৩৭টি আলোচনায় আলো ফেলে ফেলে সৈয়দ পষ্ট করেছেন তার বেড়ে ওঠা কালকে-যাপিত দিনগুলোকে।বিশেষ করে অনুবাদক মান্নান সৈয়দের পটভূমি(মাতাল মানচিত্র) ও ৭১ এর নির্মম সময় চিত্রের নির্মেদ উপস্থাপন আমারা খুজে পাবো এ টুকরো স্মৃতি গ্রন্থে। এখানে মান্নান সৈয়দ অনেক বেশি সংযমী-সংক্ষিপ্ত ও নির্মেদ।১৯৯৬ সালে লেখা নিবন্ধগুলো গ্রন্থরূপ পেয়েছে ২০০০সালে।উৎসর্গ করেছেন কবি মুস্তফা আনোয়ার কে।কবি আবিদ আজাদের দেওয়া স্মৃতির নোটবুক(২০০০)নামেই শেষ পর্যন্ত পাঠকগ্রাহ্য এটি।কুলি রোড থেকে গ্রিন রোডের রূপান্তর সৈয়দ আবদুল মান্নান ওরফে অশোক সৈয়দ ওরফে আবদুল মান্নান সৈয়দ হয়ে ওঠার ইতিহাস বা স্মৃতির নোটবুক। বাংলাদশের সাহিত্যে এ ধারার স্মৃতিকথা লেখার প্রথম প্রয়াস চালান সৈয়দ আলী আহসান তার ‘সতত স্বাগত’ গ্রন্থে।সে এক অনন্য গদ্য।এমন কাব্যময় গদ্যের লেখক বাংলা সাহিত্যে আর আসেনি। সৈয়দ আলী আহসান মূল্যায়ন তলস্পর্শী আর আবদুল মান্নান সৈয়দ আলোচনা তথ্যবহুল।মান্নানের গদ্য সংযমী আর আলী আহসানের গদ্য কাব্যময় ও বহুমাত্রিক।দু’জনের মিল তারা সহযাত্রীদের প্রসঙ্গ করে এনেছেন নিজেদের সাহিত্যে। সৈয়দ আলী আহসান আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে ব্যক্তি, মান্নানের আলোচনায় প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকা।মান্নানের উদ্যেশ্য সময়কে ধারণ করা, আলী আহসানের উদ্যেশ্য বিশ্লেষণ করা।সব মিলিয়ে ঢাকা ও সিলেটের কথকতা ।
চার।ভেসেছিলাম ভাঙা ভেলায়(২০০৯)উৎসর্গ পাতায় লিখেছেন সৈয়দ-গ্রহণ করেছ য্ত, ঋণী তত করেছ আমায়’।–তোমার ‘কোলরিজ’। এ কোন কোলরিজ’?এর উত্তর খুজতে বইটি পড়তে হবে।১৭টি টুকরো গদ্য ১৭ টি সাক্ষাৎকারের গ্রন্থণা এটি ।উদ্বাস্তু সৈয়দ থেকে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি, পরিবার-বাবা মা, কবিতা ভাবনা,শখ, প্রথম তিনটি বই-জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ,সত্যের মতো বদমাশ,শুদ্ধতম কবি,কবির ভালবাসা-ভাললাগাগুলো আলোচিত টুকরো গদ্যে।ঘুরে ফিরে এসেছে কবির রহস্যময়ী প্রণয়ী সোনালী। প্রথম বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা চমৎকার।জ্যেতিপ্রকাশের সাথে বানান নিয়ে তর্কের গল্প আছে।সত্যের মতো বদমাশ-নিষিদ্ধ হওয়া, শুদ্ধতম কবি নিয়ে বাম ঘরাণার লেখকগোষ্ঠীর ঈর্ষাকাতরতা,
সৈয়দের চমৎকার আত্মোপলব্দি-‘৩০বছর বছর বয়সের আগেই আমার …তিনটি বই বেরিয়েছিল।তিনটি বই-ই আমাকে সুখ্যাতি ও কুখ্যাতির দুই মেরু ঘুরিয়ে এনেছে’।
আছে পরতে পরতে রহস্য যাপনের দিনলিপি।৪৭পৃষ্ঠার শেষ প্যারা-
‘সে দিন রাতে তিনটি ক্লাস ছিল।তার একটি টিউটোরিয়াল। টিউটোরিয়াল ক্লাসে সেদিন দু-তিঞ্জনের মধ্যে টিউলিপও ছিল।সব ক্লাসগুলো নিতে নিতে বেশ রাত হয়ে গেল।কাছেই সদরঘাট। ক্লাস নিয়ে হেঁটে গেলাম সদরঘাটে। নদীর তীরে একা হাঁটলাম কিছুক্ষণ।নিচে জায়গা খুঁজছিলাম,হাঁটতে হাটতে পেলামও।শীত হলেও খুব-একটা শীত ছিল না সেদিন।শুধু নদীর হাওয়ায় শীতের একটা শিউরানি ছিল।নিচে কালো খরস্রোত বুড়িগঙ্গা বইছে।ওপড়ে তাকালাম একবার।তারা-ভরা বিশাল আকাশ।এক মূহূর্ত পরেই কালো ঠান্ডা খরস্রোতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম।সাতার জানা ছিল না আমার’।।
তাহলে এরপর কী হলো ? নেই উত্তর।এ ভাবেই টিউলিপ-সোনালী-মীরা‘রা ঢেউ তুলেছে সৈয়দের সাহিত্যে।
কেন গল্প লিখি!প্রসঙ্গে লিখেছেন-আমার গল্পে ‘সে’ বা ‘ওরা’ –ও এসেছে,কিন্তু আমিই সব সময় মুখ্য।(৫৯পৃঃ)
নিজের কবিতাক্রম নিয়ে লিখেছেন-টানা গদ্য জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ…;যতিচিহ্নহীন গদ্যছন্দ ওসংবেদন ও জলতরঙ্গ(১৯৮২) নতুন অভিজ্ঞতার উপার্জন কিংবা জীবনের পালাবদলও লিখেছি পার্ক স্ট্রিটে এক রাত্রি(১৯৮৩)প্রথা-ভাঙা সনেট লিখেছি আমার সনেট(১৯৯০)প্রথানুগ সনেট সকল প্রশংসা তাঁর(১৯৯৩)…নীরবতা গভীরতা দুই বোন বলে কথা(১৯৯৭)… বইয়ে আমি ফিরে এসেছি ছন্দময় গীতিকবিতায়।…কবিতা ও গদ্যের দেয়াল ভেঙে চুরমার করেছি মাতাল কবিতা পাগল গদ্য(২০০৮)বইএ।(৩৯পৃঃ)
নিজের সম্পর্কে উন্মোচণ-আমি একটু জটিল মানুষ।কাম-ক্রোধ ইত্যাদি রিপুগুলো আমার প্রবল।তবে মাৎসর্য বিষয়টা আমার ভেতরে নেই। আবার প্রথমাবধি- আমার মধ্যে গভীর নিষিক্ত আছে মরমীয়তা। (৬৮পৃঃ)
ছোট-বড় ১৭টি সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কবিতা, গল্প, শিল্প-সাহিত্যসহ নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ প্রসংগ-যা নিয়ে তুমুল যাপন মান্নান সৈয়দের।(অসমাপ্ত)

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!