বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ ঘোষণা

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

bangla-academy_40940বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, যারা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাদের এক লাখ টাকা এবং সনদ প্রদান করা হবে। বই মেলা উদ্বোধনের দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মননা প্রদান করবেন।

পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন : হেলাল হাফিজ (কবিতা), পূরবী বসু (কথা ও সাহিত্য), মফিদুল হক (প্রবন্ধ), জামিল চৌধুরী ও প্রভাংশ ত্রিপুরা (গবেষণা), কায়সার হক (অনুবাদ), হারুন হাবিব (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য), মাহফুজুর রহমান (আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী),  শহিদুল ইসলাম (বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ), কাইজার চৌধুরী ও আসলাম সানী (শিশু সাহিত্য)। তবে অন্যান্যবার নাটকে পুরস্কার পেলেও এবার নাটকের জন্য কেউ বিবেচিত হয়নি।

মহাপরিচালক বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম প্রতি বছর বইমেলার ১৭ তম দিনে ঘোষণা করা হয় এবং ২৬ তম দিনে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু এই বছর ব্যতিক্রমভাবে করা হচ্ছে। কারণ বইমেলার প্রথমেই তাদের পুরস্কার দেয়া হলে পাঠকের কাছে তাদের পরিচিতি বাড়বে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পরিচালক সাহিদা খাতুন, আব্দুল হাই, সচিব আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।