এনকাউন্টার : আতা সরকার

সাহিত্য বাজার

Sharing is caring!

ata-shorkarএনকাউন্টার
আতা সরকার

গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছিল সে। অপরাধের গুরুত্ব এখনো তার বোধগম্য নয়। নির্যাতন ও শাস্তির মাত্রা দেখে কার মনে হয়েছে, আসলেই সে অপরাধ করেছে এবং অপরাধটি ঘোরতর।
ঘটনাটিকে অপরাধে রূপান্তর না দিলেও চলত। এটিকে সে আনন্দময় করে তুললেও পারত।
কার নির্বুদ্ধিতা এক আনন্দময় ও উত্তেজনার ঘটনাকে শোচনীয় পরিণতি দিয়েছে। এর পরিণতিতে সে আজ রিমান্ডে।
ওরা প্রশ্ন করেছে : স্যার আপনাকে তো ভদ্রলোক বলেই মনে হচ্ছে। আপনি কি আসলেই ভদ্রলোক?
সে ওদের দিকে তাকাল। তার দৃষ্টিতে ফুটে উঠল কাতরতা। এ দৃষ্টির ভাষা পরিস্কার: আমি কোন স্যার নই। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ছারপোকা এবং অধম। তার সারা শরীরে অধম কীটানুকীটের ছাপ।
ওরা প্রথমেই তাকে এক উজ্জ্বল বাল্বজ্বলা ক্ষুদ্র প্রকোষ্টে ঢুকিয়েছিল। মাথার ঠিক একহাত উপরে বাল্বটি। কত হাজার পাওয়ারের কে বলতে পারে। একঘন্টার মধ্যেই সে দর দর ঘামতে শুরু করে। চোখে সাদা তারাবাতি জ্বলতে নিভতে দেখে। মনে হয়, মাথার চাঁদি ফেটে ঘিলু সব উত্থাল পাথাল বেরিয়ে এসে টগবগ ফুটবে। ঠিক যখন সে জ্ঞান হারাতে যাচ্ছিল তখনি তাকে প্রকোষ্ঠ থেকে বের করে আনা হয়। তার কাছে মনে হয় মাথার উপর সূর্যটা হঠাৎ ডুবে গেল। বাইরের বাতাস মনে হল স্বর্গ থেকে হুর’রা টানা পাংখায় প্রশান্তি বিলোচ্ছে। তার দু’চোখেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। ’
প্রবল পানির ঝাপটায় সে চোখ মেলে তাকায়। সে তার চারপাশে কয়েকজন রাবণের বংশধর দেখতে পায়। ওরা অবশ্য হাতের সুখ খুব বেশি মিটাতে পারেনি। শুরু করার দশ মিনিটের মাথায় সে জ্ঞান হারায়। খুব সম্ভব আরো দশ মিনিট ওরা তার দেহ নিয়ে কসরৎ করেছিল। এদের মধ্যে কোন এক অফিসারের এক্সপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছে হয়েছিল যে, মেয়েদের গোপনাঙ্গে সেদ্ধ ডিম ঢুকিয়ে একধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়, পুরুষের মলদ্বারে এর প্রয়োগ ঘটালে কি প্রতিক্রিয়া হয় দেখা যেতে পারে। খানিকটা চেষ্টাও করা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। যে প্রহরীকে এ কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল সে নাকি বিফল হয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিল, এর চাইতে বলৎকার করাও ভাল।
আর এখন তাকে পরিপাটি সাজিয়ে বসানো হয়েছে কনফারেন্স রুমে। কয়েকজন ভদ্রস্থ কর্মকর্তার মুখোমুখি। প্রথমেই তারা ইতোপূর্বকার কয়েক ঘন্টা তার উপর যে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। ওরা অবশ্য স্বীকার করেনি যে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজটি এখনো অব্যাহত রয়েছে- শুধু ধরণ পাল্টেছে।
আবার ওদের প্রশ্ন : স্যার, বললেন না তো আপনি আসলেই ভদ্রলোক কিনা?
সে ওদের দিকে তাকিয়ে অমায়িক হাসল, ভদ্রলোকরা যেমন হাসে।
ওরা জিজ্ঞেস করল : আমরা আপনার এ হাসির কি অর্থ করে নেব? আসলে এর কোন অর্থ হয়না।
ও সে ইতস্তত করে পাল্টা জিজ্ঞেস করল কাঁপন গলায় : আপনারা কি ভদ্রলোক?
ওরা বলল : এ ব্যাপারে আপনার কি সন্দেহ হয়?
সে ইসস্তত করে বলল : আমার সন্দেহ হলে কি আপনারা আমাকে আবার ঐ হাজার বাল্ব জ্বলা রুমে ঢুকাবেন?
ওরা বলল ছি : আমরা কেন? ও কাজের জন্য আরেকটা গ্রুপ আছে। আমরা উঠে বেরিয়ে যাব। তখন ওরা ঢুকবে।
সে সভয়ে বলল : কিন্তু আমি যে আপনাদের চাইতে ভদ্রলোক আমার জীবনে আর কাউকে পাইনি।
ওরা আরাম করে তাদের চেয়ারে গা ছেড়ে দিল। বলল : আপনি ভয় পাবেন না। আরেকটা গ্রুপ আর আসবে না। আমাদের সাথে সহযোগিতা করুন, আপনার ব্যবস্থা আমরাই নেব। এতে আপনার আর অন্য সবার কল্যাণ।
ওরা জিজ্ঞস করল : হ্যাঁ এবার আমাদের প্রশ্নের জবাব দিন, আপনি কি ভদ্রলোক?
সে এ প্রশ্নে দিশেহারা। অপ্রস্তুত বলল : আমার ভদ্রপনা নিয়ে সন্দেহ কেন?
: কারণ আপনি ভদ্রোচিত কাজ করেন নি।
: ভদ্রতার খেলাপ আমি কখন কার সাথে কীভাবে করেছি, সেটা জানি না, টের পাইনি।
: অভদ্রতা আপনার রক্তের সাথে এমনভাবে মিশে গিয়েছে যে আপনার বোধশক্তিই নেই যে কোনটি অভদ্রতা তা বুঝতে পারেন না। স্যার, এটা যদি আমরা প্রমাণ করতে পারি, তাহলে আপনাকে পবিত্র ও বিশুদ্ধ করার দায়িত্ব ও আমাদের। আর সেটা সম্ভব আপনার দেহ থেকে নষ্ট রক্ত শুষে বের করে ফেলে।
ওদের কথা শুনে সে ভয়ে শিহরিত হয়ে উঠল। ওরা বলে চলছে : একই সাথে আপনি অশালিন দুশ্চরিত্র ও লম্পট।
সে ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে থাকে। এসব কথা তার মাথায় কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না। সে বলে : আমি মূর্খ। আপনাদের কোন কথারই অর্থ আমি বুঝতে পারছিনা। আমাকে একটু খোলসা করে বলুন।
ওরা বলল : হ্যাঁ, স্যার আমরা জানতাম আপনি না বোঝার ভান করবেন। জাত ক্রিমিনালরা এমনই হয়। তারা এমন একটা ভাব দেখায় যেন তারা ভাজা মাছটি উল্টে খেতেও জানে না।
সে বলল : না আমি জানি। ভাজা মাছ, বিশেষ করে কই মাছ বা রুপচাঁদা মাছের ভাজা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয় মাছ ওল্টে পাল্টে খেতেই আমি পছন্দ করি।
ওরা বলল : ওটা আমরা ঘটনা থেকেই বুঝেছি।
ঘটনাটির কথা তার মনে পড়ে না। ওরা কোন ঘটনা বলছে, সে বুঝতে পারে না। শুধু মনে আছে, তার বস তার কাঁধে হাত দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে এনেছিল। একজন অফিসারের হাতে তুলে দিয়ে নরম মিষ্টি গলায় বলেছিল : তুমি এখন ওদের সাথ যাও। ওরা তোমার জন্য একটা ভাল ব্যবস্থা নেবে। ঘাবড়ে যেয়োনা, মনে সাহস রাখবে।
ঘাবড়ানোর কি আছে তখন সে ঠিক বুঝতে পারেনি। প্রকোষ্ঠে তাকে ঢুকানোর পরই সে বুঝতে পেরেছিল, তাকে একটু ঘাবড়াতেই হবে।
এর আগের কি কোন স্মৃতি আছে? পাতাটি এত সাদা দেখাছে যে কিছুই মনে পড়ছেনা। শুধুই ঘুরে ফিরে বসের কথাটিই ছন্দ তুলছে, ঘাবড়ে যেয়ো না।
ওরা বলল: চুপ থাকলে তো চলবে না। স্বীকারোক্তি আপনাকে দিতেই হবে।44
সে ওদের দিকে অসহায় তাকায়।
ওরা জিজ্ঞেস করল : আজ সন্ধ্যায় ভ্রদলোকের বাড়িতে ঢুকেছিলেন কেন?
কার কথা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে বুঝতে পারে না সে।
ওরা বলল : কি বুঝতে পারছেন না? ঠিক আছে স্যার, তাহলে ব্যাখ্যা করুন। আজ সন্ধ্যায় আপনি কোথায় ছিলেন?
সে বলল : আমার বসের বাসায়।
ওরা জিজ্ঞেস করল : ভর সন্ধ্যাবেলায় আপনার বসের বাসায় গিয়েছিলেন? স্যার, আপনার মতলবটা কি ছিল?
সে অবাক হয়ে বলল : মতলব কেন?
ওরা বলল : সেটা তো আপনারই ভাল জানার কথা স্যার। ঝেড়ে কাসুন।
সে কেসে গলা পরিস্কার করল : বস্ সকালে অফিসে বলেছিলেন, তার শরীরটা ভাল বোধ হচ্ছে না। তিনি বাসায় চলে যাছেন। একটা বিশেষ ফাইল নিয়ে আমি যেন সন্ধ্যায় তার বাসায় দেখা করি।
ওরা কৌতুহলে জিজ্ঞেস করল : ফাইলটা কিসের?
সে বলল : একটা টেন্ডার ফাইল। আগামীকাল মিনিস্ট্রিতে ড্রপ হবে। আমাদের এক্সপার্টরা তার খসড়া তৈরি করে দিয়েছে। বস দেখে গ্রীণ সিগন্যাল দিলেই আমরা ওটা ফাইনাল করব।
: টেন্ডারটা কিসের?
: ব্যাপারটা যে গোপনীয়।
: কিন্তু ফাইলটা আমাদের হাতে। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ওটা আমরা দেখে নেব। ঠিক আছে, আপনাকে বলতে হবে না, আমরাই দেখে নেব।
ওদের দৃষ্টি এবার সরাসরি স্থির হল তার উপর। বলল : বলছেন আপনার বস আপনাকে সন্ধ্যায় এ ফাইল নিয়ে তার বাসায় যেতে বলেছেন। ব্যাপারটা তাহলে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
সে জোর দিয়ে বলল : নিশ্চয়ই।
ওরা সকৌতুকে বলল : এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অথচ আপনার বস বাসায় নেই। উনি গিয়েছেন হোটেন সোনারগাঁয়ে ওমর খৈয়ামের এক ককটেল পার্টিতে। আমরা যদি বলি, আপনি কাজের অজুহাত দেখিয়ে অন্য মতলবে আপনার বসের বাসায় গিয়েছিলেন? মতলব বলছি কেন? ওটা তো কুমতলবই ছিল। আসলে আপনি জানতেন আপনার বস সন্ধ্যায় বাসায় থাকবেন না।
সে জোর প্রতিবাদ জানান : এটা সঠিক নয়।
ওরা বলল : তাহলে আপনার দৃষ্টিতে সঠিক কোনটি?
সে বলল : ফাইল নিয়ে সন্ধ্যায় আমি বসের বাসায় যাই। বসের আর্দালি আমাকে জানায় – বস একটু বাইরে গিয়েছেন, আমি যেন ড্রয়িংরুমে বসের জন্য অপেক্ষা করি। উনি একটু পরেই ফিরবেন।
ওরা বলল : আর তখনই আপনি সুযোগটা নিলেন।
সে অবাক হয়ে বলল : সুযোগ কিসের? আমি আনমনে ড্রয়িং রুমে ঢুকেছি। পর্দা সরিয়ে ঢুকতে না ঢুকতেই আমি থমকে দাঁড়ালাম।
ওরা বলল : হ্যাঁ আপনি থমকে দাঁড়ালেন এবং চমকে উঠলেন। ড্রয়িং রুমে বসে রয়েছেন অপূর্ব সুন্দরী রমনী।
সে বলল : হ্যাঁ বসের স্ত্রী। আগেও দু-একবার দেখেছি, কিন্তু এভাবে কখনোই দেখিনি। উনি বসে ছিলেন না, শুয়ে ছিলেন – সোফা সেটের উপর।
ওরা বলল : আর দেখেই আপনার মাথা ঘুরে গেল।
সে বলল : হ্যাঁ খুব চমকে উঠেছিলাম।
ওরা বলল : তাকে একা পেলেন। আর তখনি আপনার লোভ হল। ডান হাতটি বাড়িয়ে দিলেন। মুঠো করে ধরলেন তার বাম স্তন, আর বা হাত দিয়ে টেনে খসিয়ে দিলেন তার শাড়ি।
আর্তনাদ করে উঠল সে : না। আমি কিছুই করিনি।
ওরা বলল : লজ্জা স্থানে হাত দিয়ে এখন লজ্জা পেলে তো চলবে না। ঘটনাটি আমরা জানি। আপনি এটাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চাইছেন। বেশ আপনার গল্পটাই শুনি।
সে মরিয়া হয়ে বলল : গল্প নয় যা দেখেছি তাই বলছি। আমার বসকেও বলেছি। ড্রয়িংরুমের দরজা খোলা। ভারি পর্দা ঝুলছে। পর্দা সরিয়ে ভেতরে পা দিয়েই অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। বসের স্ত্রী সম্পূর্ন নগ্ন। তিনি চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন সোফায়। তার উপর বসের ব্যবসায়িক দুশমন। দেখেই আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে। আমি সাথে সাথে বেরিয়ে গেলাম। আমি বসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় গেটে গার্ডের মোবাইল বেজে ওঠে। গার্ড আমাকে বাঁধা দেয়। জানায়, ম্যাডাম আপনাকে ডাকছে, খুব জরুরী। গার্ড আমাকে একরকম জোর করেই ড্রয়িংরুমে ঢুকিয়ে দেয়। ঘরে তখনও বসের দুশমনকে দেখতে পেলাম। বসের অর্ধনগ্ন স্ত্রী সোফায় অর্ধশায়িতা। আমাকে ইশারায় ডাকল। আমি ভয়ে ভয়ে তার কাছে গেলাম। তিনি আমার হাত থেকে ফাইলটি নিয়ে টিপয়ের উপর রাখলেন। আমার ডান হাত টেনে নিয়ে তার বাম স্তনের উপর চেপে ধরলেন। আমি তাকে যত ছাড়াতে যাই ততই তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন। ঠিক এসময় বস বাসায় ফিরেন। তার স্ত্রীর হাত থেকে তিনি আমাকে ছাড়িয়ে নেন। বসের স্ত্রী চিৎকার করে বলছিলেন, এই লোফারটাকে পুলিশের হাতে তুলে দাও। আর কী আশ্চর্য এসময়ই আপনারা বাড়িতে ঢোকেন এবং আমাকে গ্রেপ্তার করেন।
ওরা বলল : হুঁ বুঝতে পারলাম। শুনুন আপনার বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ। শ্লীলতাহানি ও ডাকাতির চেষ্টা।
সে কাতর হয়ে বলল : বিশ্বাস করুন, আম কিছুইনা, এসব  কিছুই আমি করি নাই।
ওরা বলল : আমরা বিশ্বাস করছি। কিন্তু জানেন তো, পৃথিবীটা টাকার বশ, বড়লোকদের গোলাম। এসবের পরিবর্তন না হলে আপনার মত নিরীহ লোকরা কষ্ট পাবে। এ জন্যেই দরকার বিপ্নবের। আপনি কি বলেন?
সে মাথা নাড়ল। ওরা ঠিকই বলেছেন।
ওরা জিজ্ঞেস করল : আপনি কি বিপ্নব চান?
সে কোন কিছু না ভেবেই সম্মতি জানিয়ে মাথা নাড়ল।
ওরা বলল : বেশ আপনাকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। যান, বিপ্নবের আয়োজন করুন গে।
সে স্বস্তি বোধ করল। ওদের ইশারায় সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। বেরিয়ে যাওয়ার পথে ওরা তাকে ডাকল : আরে খালিহাতে কোথায় যাচ্ছেন? আপনি জানেন, এখন আপনার কত দুশমন? আপনার বস আপনার মৃত্যু চায়, কারণ তার বিশ্বাস আপনি তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেছেন। আপনার বসের দুশমন আপনার মুন্ডুপাত করে কারণ তার অসমাপ্ত কাজের সময় আপনি অনাহূত গিয়ে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। সর্বোপরি আপনি বিপ্লব চান। বিপ্লব মানে ওদের সবার সর্বনাশ। এজন্যে আপনি বাইরে এভাবে নিরস্ত্র থাকলে নিরাপদ থাকবেন না। আমরা আপনাকে একটা রিভলবার উপহার দিচ্ছি, আপনি নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেই করবেন।
সে সসংকোচে বলল : না না, প্রয়োজন নেই।
ওরা ধমকে বলল : প্রয়োজন আছে কি নেই, সেটা আমরা বুঝি।
এ উপহার না নিলে আমরা অপমানিত বোধ করব।
সে রিভলবার হাতে রেবিয়ে এল। পেছনে পেছনে ওরাও।
সে খানিকটা দূর এগিয়ে যেতেই একটি শব্দ শোনা গেল। সে পথের ধুলোয় লুটিয়ে পড়ল।
ওরা টেলিভিশন সংবাদ বলছে এমনভাবে উচ্চারণ করল : একজন সশস্ত্র বিপ্লবী সন্ত্রাসী এনকাউন্টারে আজ নিহত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!