আবারো গলা কেটে হত্যা : মাওলানা ফারুকী কি দোষ করেছিলেন?

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

111

মাওলানা ফারুকীকে আর দেখবো না কোনো কাফেলায়। তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সাহিত্য বাজারের পক্ষ থেকেও জানাই গভীর সমবেদনা।

চ্যানেল আই-এর খুবই জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান রমজান মাসের কাফেলা। মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী এটির উপস্থাপনা করেছেন। উপস্থাপনা করতে যেয়ে কখনো কখনো তিনি আমাদের দেশের কতিপয় আলেমদের সমালোচনাও করেছেন। তাই বলে কি এভাবে মরতে হবে তাকে? কেন এই নিশংস হত্যাযজ্ঞ? কেন?
ঠিক এভাবেই কতিপয় দুষ্কৃতিকারী এর আগে নিজেকে পীর দাবী করা পুরান ঢাকার আলাউদ্দিনকে হত্যা করেছিল। একই পদ্ধতিতে ঘটেছিল সেই হত্যাযজ্ঞ। প্রশাসন কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। আজ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের কেউ। যদি সরকার ঐ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারতো তবে আজ মাওলানা ফারুকী হয়ত আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতেন।
তাই এই দায়ভার সম্পূর্ণই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা্ ও তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিতেই হবে।

সাহিত্য বাজার পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই নৃশংস হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে জনসমুক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা শূলে চড়িয়ে মৃত্যু কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।