প্রিয় অভিনেতা খালেদ খানের জন্য শোকগাঁথা

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

77যুবদা…

চিরযুবা তুমি চলে গেলে যখন; বাংলা তখন

আগুন মূখা নদীর সাথে গড়েছে মিতালী

শত শত মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে

দুইনেত্রীর চলছে হাততালি।

 

বৃক্ষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গাচ্ছেন শোকগাঁথা

মানুষ মরছে, রক্ত ঝরছে তাতে কি

জীবনের জন্য জীবন- কথাটি এখানে এখন বৃথা।

তুমি চলে গেলে যুবদা…

একরকম ভালোই হয়েছে এতে

দেখবেনা তুমি আর

এই সব নষ্ট রাজনীতির উচ্ছৃখলতা।

২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ২০১৩ ৮টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ” শুক্রবার রাতে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়। রাত ৮টা ১৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে।

জানাগেছে, সোমবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ দিন ধরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসক ওমর ফারুক ও আরিফের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসকরা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে তার হৃৎপিণ্ড সচল হলেও মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ ছিল অনিয়মিত। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আত্মীয়-স্বজন, সহশিল্পী ও সতীর্থরা ভিড় করেন।

খালেদ খান দীর্ঘদিন থেকে দূরারোগ্য মটোর নিওরন ব্যাধিতে ভুগছিলেন। এ ব্যাধিতে মানুষের শরীরের মাংশপেশিগুলো অকেজো হয়ে যায়। যার কারণে খালেদ খান হাঁটাচলা করতে পারতেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করছেন তিনি। তার স্ত্রী স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক।

অভিনেতা খালেদ খান অসুস্থতার কারণে নাটকে অভিনয় করা ছেড়েছেন অনেকদিন হলো। তবে কিছুদিন আগেও তিনি মঞ্চনাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে নাটকের একটি কোর্স পড়াচ্ছেন ও ট্রেজারার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি সুবচনসহ বিভিন্ন মঞ্চনাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে নাগরিক নাট্যদলের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’তে কাজ করার মাধ্যমে পদচারণ শুরু এই মঞ্চনায়কের।

তবে ‘অচলায়তন’ নাটকে তার অভিনয় আজো দর্শকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’তে আনিস চরিত্রে তার অভিনয় তাকে টিভি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।

raktokarobi-2এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ১০টি নাটকের। সর্বশেষ মঞ্চে নাগরিকের ‘রক্তকরবী’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। শেষ নির্দেশনা দেন সুবচনের ‘রূপবতী’ নাটকটি। আলভি আহমেদের নির্দেশনায় একটি টিভি নাটকে শেষ অভিনয় করেছিলেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।