প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা: চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাই রোহিঙ্গাদের ভাষা

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

Rohingya 1একদিকে বাণভাসা মানুষ। অন্যদিকে রোহিঙ্গা! দেশের অভ্যন্তরে চাল নিয়ে চলছে গভীর সব ষড়যন্ত্র। রাজধানী ঢাকার সবগুলো সড়কের বেহাল দশা, মেয়রদের একজন শুয়ে আসেন হাসপাতালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনদিক সামলাবেন।
জাতীয় এই সংকটে সব দলা দলি ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ুন। দেশবাসীর প্রতি দয়া করুন।

ভাষা সমস্যার সমাধান

চট্টগ্রামকক্সবাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা এবং রোহিঙ্গাদের ভাষা একই। তাই ত্রাণ বিতরণ ও রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তি করণ কাজে ঐ অঞ্চলের যুবসমাজকে জরুরী কাজে লাগানোর বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
সব ত্রাণ একস্থানে জড়ো করুন। কর্মী সংখ্যা বাড়ান এবং রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ শিশু সকলের হাতে ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিন্ত করুন। রোহিঙ্গাদের সাহায্য করুন যেন ত্রাণ গাড়ি দেখে তারা ছুটে না আসে। তাদের হাতেই ত্রাণ পৌঁছে যায়।

এটি একটি আবেগী নেখা
( দয়া করে অপরাধ খুঁজবেন না)

rohingya_ 2একটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করছি। কমল ঠাকুর মাসে আশি হাজার টাকা বেতন পান। সেই বেতন থেকে তিনি তার মা ও বোনের খরচের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা গ্রামে পাঠান।
এদিকে তার প্রতিবেশি রহমান মাষ্টার বেতন পান মাত্র বারো হাজার টাকা। তিনি তার মা ও বোনের খরচের জন্য প্রতিমাসে চার হাজার টাকা গ্রামে পাঠান।
কার অবদান বেশি বলুন?
আমাদের প্রতিবেশী ভারত মহাদেশ, যে রাষ্ট্টের ভিতর আমাদের মত দশটি বাংলাদেশ ঢুকিয়ে রাখা যাবে, সে ১৯৭১ সালে এককোটি বাংলাদেশি কে আশ্রয় দিয়ে তার বড়ত্ব দেখালো নাকি ছোট্ট দেশ বাংলাদেশ যে নিজে অপরের সহায়তা ছাড়া ঠিকমত চলতে পারেনা, সে দেড় লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বড়ত্ব দেখালো।
প্রসঙ্গটি এলো কিছু ভারতপ্রেমী লোকের রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১৯৭১ এ ভারতে আশ্রয় প্রসঙ্গ টেনে আনা ও তখন তাদের উদারতার বর্ননা ব্যক্ত করার ধরণ দেখে।
“কিসের সাথে কি পান্তা ভাতে ঘী ” প্রবাদবচনটি এদের জন্যই তৈরি সম্ভবত।
এই ভারতীয় দালালগুলো ভুলে গেছে যে, বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) থেকে পাকিস্তানকে আলাদা করতে পারায় আসল লাভ বা ফায়দা ভারতেরই হয়েছিল। তাই এককোটি কেন তখন পুরো সাতকোটি বাংলাদেশিকেই তারা আশ্রয় দিত। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাদেরই উস্কানী ও সহায়তার বড় ফসল। এই ফসল ঘরে তোলার পথে জাতির জনক বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আজ আমরা ওদের প্রদেশ বলে গণ্য হতাম। আর এই কারণেই ৭৫ এর শোকাবহ ঘৃণ্য আগস্ট তৈরী করেছিল ওরা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ এর কোনো স্বার্থ দূরে থাক সামান্য বিশ্ব সহায়তাও নেই, যা তখন ভারত পেয়েছিল।
সুতরাং যুদ্ধকালীন সময়ে সুবিধাভোগী ভারতের আশ্রয়দান আর জাতিগত বিদ্বেষে নির্যাতনের শিকার পালিয়ে আসা অসহায় মানুষকে মানবতাবাদী আশ্রয়দান এক বিষয় নয়।
তাই দয়া করে ৭১’ এর সাথে রোহিঙ্গা বিষয়ের তুলনা কেউ করবেন না।
বুধবার (৬ আগস্ট) মিয়ানমারে মোদী যা বললেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে মোদী সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উস্কানী ও সহায়তা ( অস্ত্র প্রদান) রয়েছে মিয়ানমার সেনাদের প্রতি। আর এ কারণেই ২০০০ সালে বাংলাদেশের সেনাদের কাছে ভয়ানক পরাজিত নাসা বাহিনী পুনরায় গোয়ার্তুমি দেখানোর সাহস পাচ্ছে।
পরিশেষে বলবো, সাবধান। সাবধান, সাবধান।
কারণ, একদিকে বিশ্বনেতারা বিভক্ত উত্তর কোরিয়া নিয়ে। অন্যদিকে তারা ঐক্যবদ্ধ পশ্চিমা মুসলিম সম্প্রদায় কে ধংস করতে।।। আর মোদী আজন্ম মুসলিম বিদ্বেষী। যা ভারতীয় কংগ্রেসও ভালো করে জানে।

সাবধান!
মিয়ানমার হত্যাযজ্ঞের ছবিগুলো কে কিভাবে তুললো?
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কোনো অস্ত্র বহন করছে নাতো?
বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।