ইসমাইল হোসেন মন্ডল এর কবিতা

অতিথি লেখক

Sharing is caring!

লহিত সাগর তীরে

হে লহিত সাগর—
প্রথমে কে কথা বলেছিল বাতাসের কানে
সে কি বিশ্ব জননী আদি মাতা হাওয়া ?
সেতো তিনশ বছর ধরে কেঁদে কেঁদে অন্ধ হলো একা।

কোথাও কেউ নেই কিছু নেই আশা নেই ভালবাসা নেই
হায়রে গন্ধম তোমার কারনে স্বর্গভ্রষ্ট আমাদের এ অধ:পতন
কোথায় সে প্রিয় প্রিয়তম প্রাণের আদম
হে প্রিয় আর কোন দিন হবে নাকি দেখা
আরাফাত প্রান্তরে কেঁদে কেঁদে অন্ধ আমি-ঘুরি একা একা।

আল্লার নিষেধ অমান্য করেছি আমি তাই তো এ অধ: পতন
আমাকে বিশ্বাস করে খেয়েছ গন্ধম হে আদম
তুমি কোথায় অসহায় নিরুপায় ভ্রান্ত পথিক
তৃষ্ণায় ক্ষুধায় কাতর তবুও আমাকেই খুঁজে ফিরো সাগরে পর্বতে
তৃতীয় নয়ন তোমাকে পায়না খুঁজে তাই কাঁদে ব্যকুল হৃদয়ে
তৃষিত: উটনীর মতো ধুলি ধুসরিত মরু পথে
আমি তো ঘুরছি একা তোমার মতই প্রিয়তম
পাহাড় পর্বতময় মরুময় প্রান্তরে একা
যদি পাই সহসা তোমার দেখা গায়ের গন্ধ শুঁকে চিনে নেব আমি।
পাপের শাস্তি এতো নিদারুন হায়
আর কি তোমার সাথে কোন দিনও প্রিয়তম হবে নাকো দেখা।

*****
(প্রথম ছবিটি মা হাওয়া মসজিদের আর দ্বিতীয় ছবিটি লহিত সাগর মাঝে মানব সৃষ্ট পানির ফোয়ারা যা আড়াই হাজার ফিট উপরে উঠছে )

সহধর্মিণীর সাথে কবি।

সুস্মিতা
ইসমাইল হোসেন মন্ডল

সুস্মিতা- দেখি তোমার ওই মোনালীসা হাসি
তাই প্রতি দিন
কবিতার ফুল নিয়ে
অন্ধকারে বরে বরে তোমার কাছেই ছুটে আসি।

তুমি যে নিয়ন বাতি অন্ধকারে আলো
তাই দিনান্তের মধুরাতে
তৃপ্তি প্লাবন সুধা দিয়ে
মননে উন্মেষ প্রজন্মের বহ্নিশিখা জ্বালো।

তোমাকে স্বপ্নে দেখতে ভালবাসি
তাই উর্বসী অগ্নিঝরা রাতে
ওই মুখে ঘুমন্ত চোখে দেখি চেয়ে-
মনরো মাধুরী রাধা রজকিনী হেলেনের হাসি।

কবিতা যে কল্পনার অদৃশ্য চাঁদ
তাই চেতনায় এলে-
করটির সেরেনাদ বেয়ে
কষ্ট হয় তবু ভালবাসি মেনে নই সংসার জীবনের সব অপবাদ।

তুমি থাকো ইন্দ্রিয় উষ্ণতায় সবিতার দেশে
তাই আনন্দ বেদনায়
আলোর তরঙ্গে গান গেয়ে
শব্দ বাকপ্রতীমারা মুক্তির পথ খোঁজে আমার বুকের কাছে এসে।
***************************

প্রবাসীর সুখ দুখ
ইসমাইল হোসেন মন্ডল

বিয়ের আগে বিদেশ গেলে
মন মানেনা মন মানেনা
মনের মাঝে দুখ্ ।

মায়ের সাথে বাবা সাথে
মোবাইলে কথা বলে
পাই যে কতো সুখ।

বিয়ের পরে বিদেশ গেলে
মন মানেনা মন মানেনা
বউয়ের সাথে কথা বলি
ম্যসেঞ্জারে ছবি দেখি
পাইনা কোন সুখ।
**************

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!